আজ সোমবার ৬ মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাছের রেসিপি তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ

ইমাম খাইর, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৫১:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাছের বিভিন্ন রেসিপি তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী কর্মশালায় পর্যটন শহর ও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাজা মাছ বিক্রেতা নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেছে।

 

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন দেশের অন্যতম বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার জাহাঙ্গীর আলম ও ঊর্ধ্বতন সমন্বয়কারী মোহাম্মদ ইউনুছ। 

 

কোস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রশিক্ষণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বিভিন্ন ধরণের মাছ কাটার কৌশল, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার তৈরি ও রুচিসম্মত পরিবেশন কৌশল হাতেকলমে শেখানো হয়।

 

মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কক্সবাজার অঞ্চলে ফিশ ফ্রাই ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত, হাইজিন এবং হাউসকিপিং সম্পর্কে ধারণা প্রদানের পাশাপাশি নতুন এবং প্রচলিত বিভিন্ন ধরণের স্ট্রিটফুড সম্পর্কে ধারণা দেন প্রকল্প সহকারী মামুনুর রশীদ।

 

প্রেজেন্টেশনে জানানো হয়, খাদ্যের উপরিভাগ উজ্জ্বল ও চাকচিক্য করার জন্য খাদ্যোপযোগী পদার্থের মাধ্যমে যে আবরণ দেওয়া তাকে 'ফুড ল্যাকার'  বলে। এই ফুড ল্যাকার নিষিদ্ধ, আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। 

 

'কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যসম্মত স্ট্রিট ফুড বিক্রয়ের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি' শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

প্রকল্প সমন্বয়ক ইমরান ইবনে জাকিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় একাউন্টেন্ট কাম এমআইএস অফিসার নুর কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।  

 

প্রকল্প ফোকাল হিসেবে রয়েছেন কোস্টের উপপরিচালক বারেকুল ইসলাম চৌধুরী। 

 

উল্লেখ্য, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন। তারা সমুদ্র দেখার পাশাপাশি সমুদ্রের তাজা-ভাজা মাছ খেতে বেশ স্বাচ্ছন্দবোধ করে। টাটকা মাছের তৈরি বিভিন্ন খাবার অন্যতম পছন্দ পর্যটকদের। 

 

কক্সবাজার শহরে ৭০ জন মতো ফিশ ফ্রাই ব্যবসায়ী রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ জন প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ২ জনকে সোলার প্যানেলসহ অন্যান্য সুবিধা সম্বলিত ভ্যান গাড়ি দিয়েছে কোস্ট ফাউন্ডেশন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে।