কক্সবাজার: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় রোহিঙ্গা বাবা-ছেলেকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ডি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মৃত জাহিদ হোসাইনের ছেলে কলিম উল্লাহ (৪১) এবং তার ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯)।
মামলার নথির বরাতে ফরিদুল বলেন, উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-৩ ব্লকের বাসিন্দা কলিম উল্লাহ এবং তার ছেলে কেফায়েত উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছে বলে খবর ছিল র্যাবের। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইয়াবার বড় একটি চালান মজুদের খবরে গত ২০২১ সালের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪/৫ জন সন্দেহজনক লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ সময় গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তি মতে, কলিম উল্লাহর বসত ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৭ আগস্ট র্যাবের হোয়াইক্যং ক্যাম্পের সদস্য মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে গত ২০২২ সালের ৭ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ওই বছর ১৭ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিচার শুরুর (চার্জশিট) আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল বলেন, সোমবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক বাবা-ছেলেকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা জরিমানার সাজার ঘোষণা দেন। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।