নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টা পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। তবে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। সড়কে বিজিবি টহল দেখা গেছে।
রামুর জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাচি উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাঁওর জব্বরিয়া দাখিল মাদরাসা, আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা, পালাকাটা গোলজার বেগম দাখিল মাদরাসা, নাইক্ষ্যংদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, এসব কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি খুবই নগণ্য। নারী ভোটারের উপস্থিতি নেই বললে চলে। ভোট গ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তা অলস সময় পার করছে। তবে নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের শক্ত অবস্থানে আছে। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নামানো হয়েছে ১০২১২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। দায়িত্ব পালন করবেন ১১ হাজার ৯৭ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা। আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে কঠোর অবস্থানে থাকবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
জেলায় ৪ সংসদীয় আসনে ১১০৯৭ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ভোটে দায়িত্ব পালন করবেন। এরমধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৫৫৬ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৫০৫ জন এবং পুলিং কর্মকর্তা ৭০১০ জন। চারটি সংসদীয় আসনের জন্য মাঠে নামানো হয়েছে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জেলায় চার আসনে ৫৫৬ টি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা রয়েছে ৩৫০৫ টি।
এছাড়াও রয়েছেন ৯জন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রের সমস্যা সমাধানে চারটি সংসদীয় আসনে দায়িত্বপালন করবেন প্রতি আসনে ১ জন করে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্য। তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে উক্ত চারজন দ্রুত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক। জেলার ৪ আসনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৬ জন।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৬ জন। ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ জন। ভোটকেন্দ্র ১৬৭। এর মধ্যে রামুতে ৬৪, কক্সবাজার সদরে ৭৬ ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি ভোটকেন্দ্র। এসব ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯০ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।