কক্সবাজার শহরে জায়গা জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যূচক্র। সম্প্রতি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যূরা শহরের টেকপাড়ায় খতিয়ানভূক্ত জমি দখলে নিতে বিভিন্ন কায়দা অবলম্বন শুরু করেছে একটি দখলবাজ চক্র। আদালতের নির্দেশও মানছে না চক্রটি। কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা একটি মামলা থেকে। যার মামলা নং- ১৭৬০/২০২২। মামলাটি করেছেন সদরের খুরুশকুলের বাসিন্দা আলমগীর ছিদ্দিকী। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলা আমলে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে দখলবাজদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে বারিত আদেশ দেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার এই সময়ে খতিয়ানভুক্ত জমি দখলে নিতে সশস্ত্র হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জমির মালিক আলমগীর ছিদ্দিকী বলেন, দখলবাজরা আদালত থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। গত শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) 'প্যারাবন কেটে জমি দখল বাঁকখালী নদীতে বালু উত্তোলন' শিরোনামে একটি বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। যা মোটেও সত্য নয়। আলমগীর ছিদ্দিকী বলেন, কক্সবাজার মৌজার বিএস ৮৬৭ নম্বর খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক আমার দাদা মখলেছুর রহমান। দাদার মৃত্যুর পর তার তৎস্বত্ব প্রাপ্ত হন আমার পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিক। বাবার মৃত্যুর পর তৎস্বত্ব আমরা ওয়ারিশগণ প্রাপ্ত হই। পরে আমরা ওয়ারিশগণ তৎস্বত্ব দখলীয় জমি নামজারি ও জমাভাগ মামলা দায়ের করি। যার মামলা নম্বর ১৬২৯/২০১৫ মূলে বিএস ৬৪৭৭ খতিয়ান সৃজন করা হয়। সেই থেকে আমলমতে ভোগ দখলে পর্যাপ্ত থাকায় সরকারি সেরেস্তায় খাজনা আদায় করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গোলাম সোলতানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রহিমের ছেলে হাবিবুর রহিম আবু, মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন, মৃত জাফর আলম সিকদারের ছেলে জাকারিয়া আজাদ ও মৃত নুরুল হকের ছেলে সাইফুল হকসহ সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যূচক্র জোরপূর্বকভাবে আমার খতিয়ানভূক্ত জমি দখলে নিতে চায়। এ নিয়ে আমি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরীর পাশাপাশি লিখিতভাবে পুলিশ সুপারকে অবগত করেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।