কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার খরুলিয়ায় দীর্ঘদিনের বসতঘর দখলে নিতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মা ও ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে মা নুর আয়েশা (৬৫)সহ চারজন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
অন্যান্যরা হলেন, আব্দুল্লাহ (৩০), বোরহান উদ্দিন (১৬), কায়সার ইসলাম (১৫)।
তাদের উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া কোনারপাড়া এলাকার ডাক্তার আবুল খাইরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছেলে সাবের আহমদ (৩৭) ও তারা শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ ভাড়াটিয়া ৮/১০ জন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত।
আহত নুর আয়েশা অভিযোগ করে বলেন, আমার ভোগ দখলীয় জায়গায় বসতঘর দখলের উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী দখলবাজচক্র এলোপাতাড়ি মারধর, বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে ছেলে-মেয়েরকে নিয়ে কোনারপাড়া সড়কের পাশে লাগোয়া আমার বসতবাড়িটি নির্মাণ করেছি। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওই জায়গা ভোগ দখল করে আসছি। কয়েকবছর ধরে ওই জমিসহ বসতঘরটির উপর ছেলে সাবের আহমদ ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের লুলোপ দৃষ্টি পড়ে। এরপর থেকে ভূমিদস্যু সাবেরের নেতৃত্বে একদল দখলবাজ সন্ত্রাসী জায়গা দখলে নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বসতঘরসহ জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য তারা প্রতিনিয়ত আমাকে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শালিসকারদের ধারস্থ হয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। এমনকি সাবের স্থানীয় কারো কথাও কর্ণপাত করছেনা।
নুর আয়েশা অভিযোগ করেন, আমার বসতঘরের জায়গা দখলে নিতে ওই দখলবাজ সন্ত্রাসীরা হামলা ও ভাংচুর চালায়। প্রতিবাদ করতে গেলেই ছেলে আব্দুল্লাহ, নাতী বোরহান উদ্দিন ও কায়সার ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সাবের ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
তিনি বলেন, আমি একজন বিধবা অসহায় মহিলা। ছোট ছেলেদের নিয়ে বেঁচে আছি। স্বামীর দখলে রাখা ভিটামাটিতে বসবাস করছি।
স্থানীয় বাদশা মিয়া, শহিদুল্লাহ শকুসহ শালিসকাররা জানান, সাবের একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। তার উদ্দেশ্য মা-ভাইদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে পুরো জমিসহ বসতঘরটি দখলে নেওয়া। একাধিকবার শালিসকাররা বৈঠকে বসে সুরাহা করতে চেষ্টা করলেও সাবের কারো কথা কর্ণপাত করেনা। তারা সাবেরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্রিষ্ট প্রসাশনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় দুইপক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।