টানা তিন দিনের ছুটিতে সৈকত শহর কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচ কর্মীরা। এবারের ছুটিতে কক্সবাজারে ৫ লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে ৫০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে সৈকতের সবকটি পয়েন্ট পর্যটকে ঠাঁসা। বিনোদন প্রেমীদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতের কুয়াশা মাখা হাওয়ায় সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। ভিড় রয়েছে হোটেল-মোটেলের অলিগলিতেও। রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক আকিবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ইউএস বাংলার বিমানে কক্সবাজারে আসছি। তবে হোটেল বুকিং দেইনি। এখানে এসে রুম না পেয়ে বিপাকে আছি।
আকিব আরও বলেন, সকাল থেকে রুমের খোঁজে এদিক-ওদিক ঘুরছি। কিন্তু এখনো পাইনি। তবে যে কয়েকটি রুম পেয়েছি সেগুলোর কোয়ালিটি ভালো না আবার দামও বেশি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিমু বলেন, পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার এসেছি। আসার পর থেকে খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেশি দেখছি। এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনো নজরদারিও নেই।
শাহেদ হোসাইন নামে আরেক পর্যটক বলেন, কক্সবাজারে খাবারের দাম একটু বেশি। তবে পরিবার নিয়ে ঘুরতে পেরে সবকিছুই ভালো লাগছে।
বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আমাদের সব হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক অনলাইনে রুম চাইলেও তাদের দিতে পারছি না। আশা করি এই তিন দিনে সাড়ে ৩ লাখ পর্যটক সমাগম হবে। পর্যটকদের দায়িত্বে নিয়োজিত লাইফ গার্ড কর্মী ইউছুফ বলেন, কাল থেকে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের চাপ বেশি। যা আমাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মিজান বলেন, কক্সবাজার জেলায় যত পর্যটক স্পট রয়েছে, সেখানে ৩ দিনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকদের যেন কোনো ধরনের হয়রানি না হয়, সেজন্য হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
কক্সবাজার পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা মাঠে আছি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত।