ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানার পর কক্সবাজারের-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের দুই অংশ ধসে গেছে। গতকাল সোমবার রাতে জোয়ারের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া শ্মশান এলাকায় মেরিন ড্রাইভের দুইটি অংশে একপাশ ধসে গেছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে সাগরের পানি ৭-৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলে দ্বীপের অধিকাংশ জাগায় পানি প্রবেশ করে। এমন পানি দ্বীপবাসী আগে কখনও দেখেনি। লোকজন বাড়িতে ফিরছে। দ্বীপে বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপের চার দিকে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার এলাকার নাফ নদের তীরে ও বঙ্গোপসাগর কাছে হওয়ায় প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে ও ঘরের টিন উড়ে গেছে। এছাড়া সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ বেশ কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধও।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এরফানুলক হক চৌধুরী জানান, সিত্রাং আতঙ্কে গতকাল সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন। পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছেন তারা।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে বেশকিছু ঘরবাড়ি-রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সব জায়গা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। মেরিন ড্রাইভ কয়েকটি অংশ ভেঙ্গে গেছে।