আগামী শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে এক বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন ১৭ জন আইনজীবী নেতা।
বহুল কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনে ভোটের মাঠে রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুইটি প্যানেল। সেখানে আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন এড. আবুল কালাম ছিদ্দিকী। পেশাগত অবস্থান ও ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে সর্বশ্রেণি পেশার আইনজীবীর কাছে তিনি পরিচিত। তাকে অনেকেই ক্যারিশেমেটিক আইনজীবী নেতা হিসেবে চেনে। তাই ভোটের পাল্লাও তার পক্ষে ভারী। পূর্ণ প্যানেলে জয়ের আশাবাদী তিনি নিজেই।
এড. আবুল কালাম ছিদ্দিকীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
১৯৫৩ সালের ২৬ অক্টোবর রামু উপজেলার চাকমারকুলের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল কালাম ছিদ্দিকী। তিনি উত্তর ফতেখাঁরকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামু খিজারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে কক্সবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৯ইংরেজী সালে এস.এস.সি পাশ করেন। তার বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মরহুম আবু বক্কর ছিদ্দিকীর সরকারী চাকুরির সুবাধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে এইচ.এস.সি ১ম বর্ষে ভর্তি হয়ে ১ম বর্ষ সমাপ্ত করে এইচ.এস.সি ২য় বর্ষে কক্সবাজার কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭২ইং সনে এইচ.এস.সি ও একই কলেজ থেকে ১৯৭৪ইং সনে ডিগ্রী পাশ করেন। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এল.এল.বি পাশ করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী ছালামত উল্লাহর অধীনে শিক্ষানবীশ হিসেবে যোগদান করেন আবুল কালাম ছিদ্দিকী। ১৯৭৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদ প্রাপ্ত হন। এরপর কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতিতে আইন পেশায় যোগদান করেন।
এডঃ আবুল কালাম ছিদ্দিকী ১৯৭৯ সনে কক্সবাজার খুরুশকুল নিবাসী স্বনামধন্য এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মনিরুল চৌধুরীর ৩য় কন্যা কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাহানারা চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে ৩ সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে তানভীর ছিদ্দিকী, মেজ ছেলে এড. জিয়াউদ্দিন মাহমুদ তমাল এবং ৩য় ছেলে সাবিক ইমতিয়াজ ছিদ্দিকী।
এডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী আইন পেশার পাশাপাশি এলাকার সামাজিক কর্মকান্ড ও শিক্ষা সম্প্রসারণের বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সদস্য হিসেবে দৈনিক সংগ্রাম ও মাসিক সোনার বাংলার স্থানীয় রিপোর্টার হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে মানবতার সেবায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন কালাম ছিদ্দিকী।
জেলা সমিতিতে যোগদানের পর বিভিন্ন সময়ে কার্যকরী পরিষদের বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়ে বারের উন্নয়নে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। বিগত ২০১০ ও ২০১৬সালে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।কর্মে সফতার গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষর রাখেন।
এডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী এলাকার অবহেলিত শিক্ষা বিবর্জিত নারী সমাজকে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মরহুম আবু বক্কর ছিদ্দিকীর নামে তাঁহার নিজস্ব গ্রামে নিজস্ব এক একর জমির উপর নিজস্ব আর্থিক অনুদানে আবু বক্কর ছিদ্দিকী ইসলামী দাখিল বালিকা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উক্ত মাদ্রাসার প্রায় ১০০০ ছাত্রী লেখাপড়া করছে। নিজের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা ও বাড়ির পার্শ্বস্থ তেচ্ছিপুল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শনিবার অনুষ্ঠিতব্য জেলা বারের নির্বাচনে আইনজীবীদের ভোট ও দোয়া কামনা করেছেন এড. আবুল কালাম ছিদ্দিকী।