আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। দুই মাস পরপর ঋতু বদলায়। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনও বদলে যায়। যে কারণে তারা (বিরোধীরা) ভুলে যায় আমরা কী কী উন্নয়ন কাজ করেছি।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কিছু লোক দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু ধনী লোক সর্দি-কাশি হলেই বিদেশে চলে যায়। করোনার সময় তারা বিদেশে যেতে না পেরে বাধ্য হয়েই দেশে চিকিৎসা নিয়েছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরে হত্যাকাণ্ডের পরই ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগানও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। অবৈধভাবে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা হয়। জাতির পিতার করে দেওয়া সংবিধানও ক্ষত-বিক্ষত করা হয়।
তিনি বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দখলের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর আর কোনোদিনই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল হয়নি। ২০০১ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেম ছিল। আমরা সে সময় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। ভোটচুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল বাংলাদেশের জনগণ। এরপরে যে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চাই। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিক চাই।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আওয়ামী লীগেরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।