বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি টাকা ঋণ দিয়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে আত্মগোপনে চলে যান দুই ভাই। অবশেষে ছয় বছর পর তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে গাজীপুর জেলার গাছা থানার বটতলী এলাকা থেকে মো. জাফর ইকবাল খানকে ও বুধবার রাতে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার ভাই মো. মাজাহার ইকবাল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবির।
তিনি বলেন, মো. মাজাহার ইকবাল খান (৫০) ও তার ছোট ভাই মো. জাফর ইকবাল খান (৪০) নবাব সিরাজুদ্দৌলা রোডের ইকবাল সুইটস নামে একটি দোকানে মিষ্টির ব্যবসা করতেন। তাদের বাবা হাজী মোহাম্মদ ইকবাল খান মারা যাওয়ার পর তাদের বাবার রেখে যাওয়া দিদার মার্কেট এলাকার একটি জায়গায় তারা ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও লোকজনের কাছ থেকে কোটি টাকা ঋণ নেন। ৮ম তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের পর তারা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু যে সব প্রতিষ্ঠান ও লোকজনের কাছ থেকে কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি তারা। একপর্যায়ে দুই ভাই চট্টগ্রাম থেকে ছয় বছর আগে পালিয়ে যান। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পাওনাদাররা। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই পরোয়ানায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার মো. জাফর ইকবাল খানের বিরুদ্ধে ৭টি সাজা ও ৬টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ মোট ১৩ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আর কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার মো. মাজাহার ইকবাল খানের বিরুদ্ধে ১৩টি সাজা ও ৬টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ মোট ১৯টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
ওসি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আসামি মো. মাজাহার ইকবাল খান কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার জোড় পুকুরিয়া গ্রামে আত্মগোপন করেন। সেখানে তিনি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। আর তার ছোট ভাই মো. জাফর ইকবাল খান গাজীপুর জেলার গাছা এলাকার মেট্রিক্স স্টাইলস কোম্পানিতে অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন আত্মগোপন ছিলেন তারা।