আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

উদ্দীপন দোহাজারী শাখায় ঋণের ফাঁদে দিতে হয় ঘুষ

মো. আয়ুব মিয়াজী, চন্দনাইশ | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০২:০৩:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম জোনের বাঁশখালী অঞ্চলের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশে অবস্থিত উদ্দীপন দোহাজারী শাখার মাঠ কর্মী জনি দে (এফ সি ও পিন নং- ৬৫২৩)’র বিরুদ্ধে শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ গ্রাহকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদক আরোও জানতে পারেন তিনি ঋণের ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করতে না পারায় গ্রাহককে হয়রানি করে আসছে। এই অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ভুক্তভোগীরা পান না কোন প্রতিকার। জানা যায় দোহাজারী বাজার (সংগঠনের কোড ৩১০৪)’র এক গ্রাহক ২ লক্ষ টাকার ঋণ পরিশোধ করে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য ধার করে ৩ কিস্তির ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেন ফিল্ড অফিসার জনিকে। তার পরামর্শে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে পরিশোধ করলে বাদ-বাকী টাকা সঞ্চয় থেকে উত্তোলন করে ৩ লক্ষ টাকার ঋণ প্রস্তাবের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর বলেন এ মুহুর্তে সঞ্চয় থেকে টাকা তুললে ঋণ বিতরণ এক মাস পিছিয়ে যাবে। এমতাবস্থায় দ্রুত ঋণ পাওয়ার জন্য গ্রাহক পুনরায় ধারে অন্য জনের নিকট ফিল্ড অফিসারকে পাঠিয়ে আরোও ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তিনি এই ১০ হাজার টাকা পাস বইয়ে পরিশোধ না করে তা অস্বীকার করেন এবং আজ-কাল করে গ্রাহককে ঘুরাতেত থাকেন। গ্রাহক এমন প্রতারণা বুঝতে পেরে সাক্ষীসহ ম্যানেজারের নিকট অভিযোগ করলে ফিল্ড অফিসার জনির পকেট থেকে টাকা বের করে উক্ত বকেয়া পরিশোধ করেন। ধার করা টাকা পরিশোধ করার জন্য গ্রাহক ঋণের আবেদন করলে ম্যানেজার ও ফিল্ড অফিসার মিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং সদস্যপদ বাতিল করেন। এতে অভাবে অসহায় গ্রাহক, তীব্র হচ্ছে ঋণের ফাঁদ। এই অভিযোগটা ব্যক্তিগতভাবে অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ফিল্ড অফিসার জনি দে। তিনি জানান ঋণ বিতরণ করেন স্বয়ং ম্যানেজার। তার ক্ষমতা থাকলে তিনি নিজেই ঋণ নিতে পারত বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। যদিও ম্যানেজার কবির হোসেন বলেন জনি বাজারের ফিল্ডে মহিলা সদস্য ছাড়া ঋণ বিতরণ করবে না বললে, মহিলা সদস্য ছাড়া ঋণ বিতরণ না করার অযুহাত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন শাখা ব্যবস্থাপক। সরজমিনে তদন্ত করে জানা যায় অনেকেই এই ঘুষ বাণিজ্যের শিকার। ঘুষ দিয়ে উদ্দীপন থেকে ঋণ নিলেও কর্মকর্তাদের চাপে তারা মুখ খুলতে চান না। এর ফলে প্রকৃত সেবামূলক কর্মকান্ডের নামে এনজিও কর্মীরা গরীব মানুষগুলোকে ঋণের ফাঁদে পেলে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। ঋণের বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত সেবা। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্ট আকর্ষণ করতেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাঁশখালী জোনের জোনাল ম্যানেজার আবদুল হালিম।