চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন পিংকু। জীবনে প্রথম ভোট দিতে এসেছেন বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে। ভোট দেওয়ার পর ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কথা বলেন তিনি।
মহিউদ্দিন পিংকু বলেন, জীবনে প্রথম ভোট দিয়েছি ইভিএমে। ভোট দিতে কোনও সমস্যা হয়নি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট দিয়েছি। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঙ্গে পূর্ব থেকে পরিচিত। গ্রামে ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী এহসানুল হক নয়ন বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। আমার মা-বাবা আগে কাগজে সিল মেরে ভোট দিতেন। সেই ভোট এদিক-ওদিক হওয়ার একটা সুযোগ থাকতো, কিন্তু ইভিএমে সেই সুযোগ নেই। একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বাঁশখালী উপজেলায় ইভিএমে এই প্রথম ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। প্রার্থীরা যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চান তখন থেকেই তাদের উচিত ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
৪০ বছর বয়সী মালেক নামে এক ভোটার বলেন, বাটন টিপে ইভিএমে ভোট দিয়েছি। আগে ইভিএমে কিভাবে ভোট দিবো সেটা নিয়ে টেনশনে ছিলাম। ইভিএমে দ্রুত সময়ে ভোট দেওয়া যায়।
পুকুরিয়া ইউনিয়নে দায়িত্ব পালনরত লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা খুবই খুশি। দ্রুত সময়ে ভোট দিতে পারছেন সবাই। ভোটাররা নিজের ভোট দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। ইভিএম নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ নেই।