- দৈনিক সাঙ্গুতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংবাদ প্রকাশের জের,তিন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন
হাটহাজারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিতরণে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দৈনিক সাঙ্গুতে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন তিন বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে।এ কমিটির তদন্তের রিপোর্টের পরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।গত ২৪সেপ্টেম্বর হাটহাজারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে টাকা নেয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয় হাটহাজারীতে।এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান তিন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো:তারেকের বিরুদ্ধে এক ভুক্তভোগী সহ নানা হয়রানির শিকার হওয়া দুই ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার বরাবরে।তবে তার কোন সুরাহা পায়নি এ ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।এনিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি ধমকি দেয়ারও অভিযোগ তুলেন তারা।শুধু তাই নয় ওই ইউপি সদস্য আরো যারা আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছে তাদের অনেকের কাছ থেকে ২০হাজার করে টাকা করে দাবি করেন।অন্যতায় উপকারভোগীদের বরাদ্দের ঘর বাতিল করে দেবে বলেও হুমকি প্রদান করেন।এদিকে ওই ইউপি সদস্য তারেক সরকার কর্তৃক অসহায় দরিদ্র পরিবারদের মাঝে ন্যায্য মুল্যের যে টিসিবির কার্ড বিতরণ করছে বিনামূল্যে তার ওয়ার্ডে প্রতিটি কার্ড জনপ্রতি ৫০০টাকা হারে অর্থ নিচ্ছে।টাকা না দিলে কার্ড বাতিল করে দিচ্ছে বলেও একাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভুক্তভোগীরা জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম মসিউজ্জামান বলেন, এটা আশ্রয়ণ প্রকল্পও না,এরা আশ্রয়ণের বাসিন্দাওনা।তাহলে তালিকাটা তৈরী কারা করল এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন তিন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছি।রিপোর্ট পেলেই যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য:আশ্রয়ন প্রকল্প-২এর আওতায় সারা দেশের ন্যায় হাটহাজারী উপজেলার ২৮১ টি ঘর নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।পৌরসভার আদর্শ গ্রামে ৪৮টি.আলমপুরে ৬৩টি, জঙ্গল চারিয়া ৭১টি,গুমানমর্দ্দনে ২৬টি,ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ ৭৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ভূমিহীন পরিবারদের এই ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়।এতে ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান কাউন্সিলর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা তদন্ত করে নিরপেক্ষভাবে ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন করে।কিন্তু অধিকাংশ ঘরে ভূমিহীন পরিবারগুলো বসবাস করেনা বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রয়নের ব্যক্তিরা জানান। আবারও অনেকের জায়গা আছে সামর্থ আছে এরকম পরিবারকেও ভূমিহীন হিসেবে ঘর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।গত কিছুদিন আগেও পৌর এলাকার আদর্শগ্রামে নাছির নামের এক ব্যক্তি বরাদ্দ পাওয়া ঘর বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বরাদ্দকৃত ঘরগুলি কারা পেয়েছে তার কোন তথ্য প্রকাশ করেনা উপজেলা প্রশাসন।এটি নাকি তাদের ইন্টার্নাল বিষয়।যার কারণে আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিকাংশ ঘর বরাদ্দের স্বজন প্রীতির অভিযোগ তুলেছে অনেকেই।সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেন সচেতন মহল।