আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১

আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গিয়াসুদ্দিন

নুরুল ইসলাম সবুজ সাতকানিয়া । | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৫ জানুয়ারী ২০২৩ ০২:৩০:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

 

সাতকানিয়ার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৫ নং ছদাহা মোহাম্মদীয়া খাইরিয়া আলিম মাদ্রাসার সুযোগ্য অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ মাওলানা মোহাম্মদ গিয়াসুদ্দিন। তিনি একজন বহুগুণে গুণান্বিত সাদামনের মানুষ ও আলোকিত ব্যক্তিত্ব। যিনি শিক্ষা বিস্তারে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয়, তিনি একজন কর্মঠ, দায়িত্ববান, সৎ, ন্যায়বান ও ধর্মপরায়ন, আলেমেদ্বীন ব্যক্তিত্ব। তাছাড়া তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নে ও ছাত্র ছাত্রীদের নৈতিক চরিত্র গঠনে দায়িত্বশীল ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন। তার সুপরামর্শ, আন্তরিকতা, মার্জিত ব্যবহার সবাইকে মুদ্ধ করে। তাই তিনি সকলের কাছে পরম সম্মানিত ও প্রিয়জন। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ছদাহা মোহাম্মদীয়া খাইরিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। সেই থেকে মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন, পড়ালেখার মান বৃদ্ধি, সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন। অধ্যক্ষ মাওলানা গিয়াসুদ্দিনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মাদ্রাসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে বলে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ মনে করেন। সাতকানিয়া ছদাহা ইউনিয়ন ১১.৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ৮৩৫০ টি পরিবার নিয়ে গঠিত। যার জনসংখ্যা ৪১১১৩ জন, শিক্ষার হার ৭২.৭৮। ছদাহা ইউনিয়নে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯টি, উচ্চ মাধ্যমিক ১টি ও মাদ্রাসা রয়েছে ৫ টি। তৎমধ্যে ছদাহা মোহাম্মদীয়া খাইরিয়া আলিম মাদ্রাসা শিক্ষাক্ষেত্রে ও পড়ালেখার মান উন্নয়নে সবচেয়ে এগিয়ে। এক্ষেত্রে মুল ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন মাদ্রাসার সুদক্ষ ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ গিয়াসুদ্দিন। যার অক্লান্ত পরিশ্রম, আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে ছদাহার এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার পরও অত্র মাদ্রাসার দিনদিন অগ্রগতি হচ্ছে। বৃদ্ধি পেয়েছে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা – ৭৭০ জন। একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদককে অধ্যক্ষ গিয়াসুদ্দিন বলেন- আমি মাদ্রাসার শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নে পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মাদ্রাসার সুশৃঙ্খল, মনোরম পরিবেশ এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন বজায় রাখতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছি। আশা করছি - আগামীতে অত্র মাদ্রাসা দক্ষিণ চট্টগ্রামে অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করবে। আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেদমত করার তৌফিক দান করুক, আমিন।