কয়েক দফা অভিযানের পর সীতাকুণ্ডের আলীনগর পাহাড় থেকে অবৈধ বসতি সরাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে নিজেদের মালামাল নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন অবৈধ দখল নিয়ে বসবাসকারীরা।
আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে আলীনগরের সকল অবৈধ বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরে যাবার নির্দেশনা দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারীও দেওয়া হয়।
এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর আলীনগর এলাকায় সরকারি খাস জায়গায় অবৈধভাবে দখলকারীরা আলীনগর ছেড়ে যাচ্ছেন। ট্রাক-ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেক পরিবার।
গত শুক্রবার বিকেল ৩টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জঙ্গল সলিমপুরে টানা অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নাইট সাফারি পার্কের জন্য উদ্ধারকৃত ৫৭ দশমিক ৫০ একর জায়গার চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এছাড়াও নিরাপত্তা চেকপোস্টের জন্য জায়গা চূড়ান্ত করেন জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে আমরা পাহাড়ের চার শতাধিক পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে আলীনগরের পাহাড়, টিলা, বনভূমি এবং এখানকার পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষাকল্পে হাইকোর্ট গত ৭ আগস্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে সেখানে পাহাড়-টিলা দখল করে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সব স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বৈধ জমির মালিকদের মালিকানা নিশ্চিত করতে বলা হয়। এর অংশ হিসেবে সেখানে খাস জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে এবং বৈধ ভূমির মালিকদের ২০ আগস্টের মধ্যে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
মমিনুর রহমান বলেন, পাশাপাশি যারা অবৈধ উপায়ে সেখানে পাহাড়-টিলা দখল করে কেটে বসত ঘর বা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছেন তাদেরকে ঐ সময়ের মধ্যে অবশ্যই এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আলীনগর ও জঙ্গল সলিমপুরে ৬ হাজার প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য তালিকা করা হচ্ছে।
জঙ্গল সলিমপুরে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন গত ২ আগস্ট অভিযান পরিচালনা করে আলী নগরের ১৭৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭০০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করে। জঙ্গল সলিমপুরে সরকারি খাস জায়গা রয়েছে ৩ হাজার ১ একর।