আজ রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

আন্দোলনের নামে ‘পিকনিক’ করছে বিএনপি: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৪ অগাস্ট ২০২৩ ০১:১৫:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

বিএনপির কর্মসূচিতে পাশে নেই জনগণ। তাদের সম্পৃক্ততা ছাড়া আন্দোলনের সুনামি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

 

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়াকান্না করছে তাদের মূল পরিকল্পনাই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। তাদের সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির সহাবস্থান নেই। 

 

তিনি আরও বলেন, এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোন পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলনের জন্য দুইটা বিষয় লাগে। একটা অবজেক্টিভ আরেকটা সাবজেক্টিক। তাদের (বিএনপি) অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন নেই। 

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ। ক্ষমতার স্বপ্ন দেখিয়ে নেতাকর্মীদের জড় করছে বিএনপি। যারা পিকনিক আর আনন্দফুর্তি করছে। তাদের এসব সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণ আন্দোলন কেমন করে হবে?

 

তিনি বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি  সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে '৭৫ থেকে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলে আসছে।

 

হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করা, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, '৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে '৭৫ এর ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক সুতায় গাথা।

 

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম। পার্লামেন্টে তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী যখন প্রসঙ্গটি তুলছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, উনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। একুশে আগস্ট ঘটনাকে নিয়ে এই উপহাস করেছিলেন তিনি। জজ মিয়ার নাটক আরো নির্মম। সেটা আরেক প্রহসন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়া কান্না করে তাদের রাজনীতি হচ্ছে ষড়যন্ত্র ও হত্যার। আজকে আমরা একটা কথা বলতে চাই ও দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করছে তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সঅবস্থানের কোন সুযোগ আছে কি না?