আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রাচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন অহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার(২৪ ডিসেম্বর)দুপুর সাড়ে ১২ টায় ইউনিয়নের শাহজীপাড়া ও বদলমাঝির বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদত হোসেন চৌধুরী ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী ও থানা ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম দিদারুল ইসলাম তাঁকে উদ্ধার করেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বরুমচড়া বদল মাঝি এলাকার একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যান আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন চৌধুরী। নামাজ শেষে এলাকায় প্রচারনার মূহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী দুই প্রার্থীও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদত হোসেনের বোন শাহিদা আক্তার(৪০) মো. একলাস(২৪),বুলু আক্তার(৫০),শামীমা আক্তার(৪০), ইদ্রীস(৩৫), ইমাম শরীফ(৮০),মো. মামুন(৫৫),মো.আলী (৪৫),মো. হাবীব(৪০),নুরুল হক(৪৫), মো. ইউসুফ(৩২) আহত হয়। আহতদের মধ্যে শাহিদা আক্তার ও মো. একলাসকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহাদত হোসেন চৌধুরী জানান, শুক্রবার আমার বোন ও আমি নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বোনসহ আমার ৬ সমর্থক আহত হয়। তিনি আরো জানান আমি জুমার নামাজ পড়তে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ডুকে আমার উপর হামলা করে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সামশুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কয়েকদিন ধরে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদত হোসেন চৌধুরীর সমর্থকরা ফেসবুকে উসকানী মূলক স্টাটাস দিচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে নৌকা সমর্থকদের উপর হামলা করলে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বরুমচড়ায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সামশুল ইসলাম চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদত হোসেন চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় কয়েক জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।