আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আগামী প্রজন্মের স্বার্থে বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:২৮:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

দেশ ও আগামী প্রজন্মের স্বার্থে বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইমাম, কাজী, পুরোহিত, ধর্মীয় নেতাদের জোরালো ভূমিকা থাক দরকার। না হলে সমাজ থেকে এই দশা দূর করা কঠিন হবে। শুধু আইন দিয়ে বাল্যবিয়ে রোধ সম্ভব নয়। দরকার সমাজ সচেতনতা। 

 

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-ইপসার আস্থা প্রকল্পের সেমিনারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মোঃ নাসিম আহমেদ এসব কথা বলেন। 

 

তিনি বলেন, সামাজিক অসঙ্গতিসমূহ দ্রুত ভাঙতে হবে। মানুষের গুনগত মান বাড়াতে যে যার অবস্থানে কাজ দরকার। 

 

ইপসার উপপরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার খালেদা বেগমের সভাপতিত্বে সেমিনারে রামু উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, আস্থা প্রকল্পের টিম লিডার শাহনুর আকতার চৌধুরী, রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন।

 

ইপসার প্রকল্প সমন্বয়ক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

 

সমাপনী বক্তব্যে ইপসার উপপরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার খালেদা বেগম বলেন, ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই অধিকারটুকু নিজেকে আদায় করে নিতে হবে। বাল্যবিয়েরোধে মায়েদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। 

 

সেমিনারে উপস্থাপিত তথ্য মতে, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সহায়তার জন্য ইপসার আস্থা প্রকল্পের মাধ্যমে ‘নারী সহায়তা কেন্দ্র’ পরিচালিত হচ্ছে। সহিংসতার শিকার হলে ১৬৪৩০ নাম্বারে ফোনে মিলবে আইনি সহায়তা। নারী ও শিশু নির্যাতন অথবা পাচারের ঘটনা ঘটলে ১০৯ নাম্বারে ফোন করলে তাৎক্ষণিক সেবা পাওয়া যাবে। মূলতঃ জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার সারভাইবারদের সরকারি সেবা গ্রহণে সহযোগিতা করতে ‘আস্থা’ প্রকল্প।

নেদারল্যান্ডস এম্বাসির আর্থিক সহায়তায় এবং ইউএনএফপি-এর কারিগরি সহযোগিতায় কক্সবাজারসহ দেশের চারটি জেলার ১২ উপজেলার ১০২ টি ইউনিয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

নির্যাতনের শিকার নারী ও কন্যা শিশুদের সহায়তার জন্য সরকারি মাল্টি-সেক্টরাল সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে- জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, থানা, মহিলা বিষয়ক কার্যালয়, হাসপাতাল, সমাজ সেবা কার্যালয়।