আজ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১

অস্থিত্বহীন দলের সাথে মিটিং বিএনপির দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পাচ্ছে -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩ জুন ২০২২ ১০:১৭:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যেসমস্ত দলের সাথে মিটিং করছে এসমস্ত দলের বাস্তবে কোন অস্থিত্ব নাই। অস্থিত্ববিহীন দলের সাথে মিটিং করে করে তারা একটি সংবাদ পরিবেশন করছে মাত্র। অস্থিত্বহীন দলের সাথে মিটিংয়ের মাধ্যমে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বটাই প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে পণ্যের মূল্য নিয়ে কথা বলছেন। অপরদিকে সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যবসায়িদের ফোন করে পণ্য মজুদ করো, দাম বাড়াও, দেশে পণ্যের সঙ্কট সৃষ্টি করো বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাদের ঘরানার ব্যবসায়িরাসহ অন্যান্য ব্যবসায়িরা এই বার্তা পেয়ে অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগ আয়োজিত মানব বন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এই মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি দিলোয়ারা ইউসুফের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা শামীমা হারুন লুবনার সঞ্চালনায় মানব বন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নানা ধরণের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। প্রতিদিন বিএনপি বিভিন্ন দলের সাথে মিটিং করছে। তাদের সাথে মিটিংয়ে যেসমস্ত দল হাজির হয়, এসমস্ত দল যে দেশে আছে এই মিটিংয়ের পর মানুষ জানতে পারে, এধরণের একটি দল দেশে আছে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশে নানা ধরণের পার্টি আছে। রাতের বেলা মানুষ গুম করেন এমন একটা পার্টি, মরিচের গুড়া মারে সেটা একটা পার্টি, রাতের বেলা মলম মেখে দেয় সেটাও একটা পার্টি। সভাপতি থাকলে সেক্রেটারি নাই সেধরণের পার্টিও আছে। নানা ধরণের পার্টির সাথে বিএনপি মিটিং করছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাকি ডান-বাম সবার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম অতিডান অতিবাম সবারঐক্য করেছিলেন। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে তারা নির্বাচনও করেছিলেন। ফলাফল বিএনপির ঘরে মাত্র পাঁচটি আসন। সুতরাং এইবারও সর্বোচ্চ সংখ্যক দলের সাথে মিটিং করেও গতবারের চেয়ে বেশি ভালো ফল হবে বলে জনগণ মনে করেনা। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। যদি তারা আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্ঠা চালায় তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর হস্তে তাদের আমরা প্রতিহত করবো। আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপি জামাত তাদের দোসরদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। ঢাকা ািবশ^বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়ে অছাত্র ও ছাত্রদে বাবাদের সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানে তারা স্লোগান দিয়েছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে তারা দুটো জিনিষ প্রমাণ ও স্বীকার করেছে। একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছে। আরেকটি কথা বলেছে তারা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের গণমানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দল, আওয়ামী লীগের নেত্রাকর্মীরা রাজপথে সবসময় ছিল, রাজপথে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রামে আমাদের আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের কর্মীরা মাঠে নেমেছে। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের নারী কর্মীরাই যথেষ্ট। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি। ইউরোপে এক ইউরোর তেল চার ইউরোতে বিক্রি হচ্ছে। এক ইউরোর রুটি দুই ইউরোতে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে কোন কোন খাদ্য পণ্যের দাম দুই থেকে তিন’শ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে সেভাবে বৃদ্ধি পায় নাই। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যুদ্ধ ও আমদানি নির্ভর পণ্যের অজুহাত দিয়ে কিছু কিছু মজুতদারি চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য মজুত করছে। আমাদের সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু মামলা, জরিমানা নয় প্রয়োজনে তাদের গ্রেপ্তারও করা হবে। সুতরাং কেউ মজুতদারি ও আড়তদারি করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্ঠা চালাবেননা। বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা এড. বাসন্তি প্রভা পালিত, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী সৈয়দা রিফাত আকতার নিশু, রেহেনা ফেরদৌস, খালেদা আক্তার চৌধুরী, রোকসানা নাছরিন, ফাতেমা বেগম, এড. পাপড়ি সুলতানা, রেজোয়ানা শারমিন, এড. রাহেলা বেগম রেখা প্রমুখ।