“দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘মব’ তৈরি করে মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিলেও এর বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন সরকারের জোরালো ভ‚মিকা চোখে পড়ছে না। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা উদ্বেগজনক। স্বৈরাচারী শাসকের অবসানের পর দেশবাসী স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে উৎখাত করে শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। কিন্তু অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ক্ষিপ্রতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের বিষয়ে জনগণকে এখনো স্পষ্ট করেনি। বরং ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গাইবান্ধা ও রাজশাহীতে পিটিয়ে ছাত্র-যুবকদের হত্যা করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” শুক্রবার (২৭ শে সেপ্টেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মিরসরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম এসব কথা বলেন।
মিরসরাই সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেলে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এইচ এম কাউছার বাঙালী, ঢাকা রমনা থানা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পশ্চিম শাখা সভাপতি মুফতী মহিউদ্দিন আকবর আলী, জেলা সেক্রেটারি মুফতী জসিম উদ্দিন, দীনি সংগঠনের ইব্রাহিম খলিল, জেলা ওলামা আঈম্মা পরিষদের আহ্বায়ক ইব্রাহিম আল হাসান, জেলা যুব আন্দোলন সভাপতি ফয়জুল কবীর পারভেজ, ছাত্রনেতা আহমদ হাসান আল জাবের।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম আরো বলেন, ‘নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পতিত সরকারের সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের নামে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে মাঠে নামানোর পরও আইন-শৃঙ্খলার কাঙ্খিত উন্নতি চোখে পড়ছে না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ঠেকাতে জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার ক্ষমা নেই। তাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সাথে সাথে ২০১৩ সালের ৫ মে রাতে ফ্ল্যাশ আউটের নামে যে গণহত্যা চালিয়েছিল সেই গণহত্যাসহ বিগত ১৬ বছরের আইন বহির্ভ‚ত সকল হত্যাকাÐের বিচার করা হবে।’
সমাবেশ শেষে রাতে কলরব, কণ্ঠসুর, স্বপ্নচূড়া শিল্পী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পরিবেশিত হয়।