আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২৪ ঘন্টাও উদ্ধার হয়নি হালদার পাড়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী

মাহমুদ আল আজাদ হাটহাজারী প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৭ অক্টোবর ২০২২ ০৬:২৭:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

প্রায় ২৪ ঘন্টা সময় পার হলেও হালদা নদীতে ফুটবল পানি থেকে উঠানোর জন্য নেমে নিখোঁজ আনাছ(১৫)নামের মাদরাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হলেও ডুবুরি দলের একটি টিম গড়দুয়ারা ১নং ওয়ার্ড স্লুইস গেইট এলাকায় থেকে প্রায় ৩কিলোমিটার শ্বাসরূদ্ধকর অভিযান চালায়।নদীতে জোয়ারের পানি অতিরিক্ত থাকায় নিখোঁজের মরদেহের সন্ধান মেলেনি। এদিকে সন্তান হারানোর খবর পেয়ে রাতেই আরব আমিরাত থেকে বিমানযোগে চলে এসেছে প্রবাসী আবু তাহের। তিনি সকাল‌ ৭টা থেকে হালদার স্লুইস গেট এলাকায় অশ্রুশিক্ত নয়নে সারাদিন নদীর পাড়ে বসে ছিল হতাশ হয়ে।তবে এখনো নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে না পারায় উৎসুক জনতাদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থী গড়দুয়ারা ৭নং ওয়ার্ড হাজী দুলা মিয়া সারাং বাড়ীর প্রবাসী আবু তাহেরের পুত্র। পৌরসভার ১১ মাইল শাহ অলিউল্লাহ (রহ.)ইসলমী মাদরাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র। মাদ্রাসার পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করে তারা। সন্ধ্যার পর থেকে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়।প্রায় রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালালেও নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পানির স্রোতের কারনে উদ্ধার তৎপরতা বেহাত ঘটছে।সকাল ৬টা থেকে আবারো আগ্রাবাদ থেকে ডুবুরি দলের একটি টিম উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।তবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পার হলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। নিখোঁজ আনাছের বাবা অশ্রুশিক্ত নয়নে বলেন,আমার একটি মাত্র ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। বন্ধুদের সাথে ছুটির দিনে ঘুরতে এসেছে।তার খেলার ফুটবলটি তুলতে গিয়ে ডুবে যায়।খবর পেয়ে রাতেই সন্তানের খুঁজে প্রবাস থেকে চলে এসেছি।ছেলেকে বড় আলেম বানাবো বলেই স্বপ্ন দেখেছি।সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।তার সংসার দুই মেয়ে এক পুত্র সন্তান রয়েছে । হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর কমকর্তা মো. শাহজাহান জানান, গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সত্তারঘাট হয়ে মদুনাঘাট এলাকা সহ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধারের সম্ভব হয়নি।জোয়ারের পানি ও ভাটার স্রোতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। মরদেহ না পাওয়া পর্যন্ত ডুবুরি দলের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য: গত কয়েক বছরে স্লুইস গেট এলাকায় আরো একাধিক ছেলে নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।