আগের তিন বছরের মতো এবারও লটারির মাধ্যমে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে ১৮ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে এই আবেদন গ্রহণ করা হয়।
চট্টগ্রামের ১০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৬৪টি।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে ১০টি বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে শূন্য আসনের সংখ্যা ২ হাজার ৪২৪টি।
এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণিতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি শূন্য আসন। ১০টি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে মোট ১ হাজার ৫৪৫টি শূন্য আসন রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৫০০টি, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ১০টি করে ও নবম শ্রেণিতে ৩৫৯টি শূন্য আসন রয়েছে।
সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ে প্রভাতি ও দিবা শাখায় মোট ৩৫৯টি শূন্য আসনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আর এর বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৩ হাজার ৯২০টি।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ২৭৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২০ হাজার ৭৬৩টি, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৩৫৫টির বিপরীতে ১৯ হাজার ৩৯১টি, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৪টির বিপরীতে ১৮ হাজার ৮৮৮টি, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৯টির বিপরীতে ১৮ হাজার ৩৭৭টি। অন্যদিকে বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৩৫৭টির বিপরীতে ১৬ হাজার ৩৬০টি, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৯টি আসনের বিপরীতে ৮ হাজার ৭২টি, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩৮টির বিপরীতে ৫ হাজার ৯২৩টি এবং চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১০টি শূন্য আসনের বিপরীতে ২ হাজার ৪৮১টি আবেদন জমা পড়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাদি উর রহিম বলেন, ভর্তির প্রক্রিয়া অনলাইন আবেদনে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে করা হবে। জেলা পর্যায়ে কোনো লটারি হবে না। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পেরেছে। জেলা পর্যায়ে কোনো লটারি হবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় নির্ধারণ করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা বলেন, লটারি ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু কেন্দ্রীয়ভাবে করা হচ্ছে। ফল প্রকাশের পর স্কুলগুলোতে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।