আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

হাটহাজারী পৌরসভায় পরিত্যক্ত ভবনের ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক মেরামতের অভিযোগ

হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : রবিবার ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৪০:০০ পূর্বাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

হাটহাজারী পৌরসভার কামাল পাড়া (প্রকাশ বউ বাজার)  সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরপুর হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পৌহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।দীর্ঘদিনের সৃষ্টগর্ত হওয়ার কারনে সড়কটি চলাচল অনপোযোগী হয়ে পড়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে মেরামত করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে সৃষ্টগর্তের স্থান কুড়াকুড়ি শুরু করলে পৌর নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি আসে।কিন্তু এ গ্রেডের পৌরসভা  হওয়ার কাজগুলো নিম্মমানের দেখে সাধারন নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ তুলেন।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় ১কিলোমিটারের  সড়ক হাটহাজারী মাদরাসা সংলগ্ন হয়ে ১০তলা বিল্ডিং আবার সেখান থেকে বউ-বাজার ও অপরদিকে প্রাণী সম্পদ সড়কে যেতে কিছু অংশ মেরামত  করা হচ্ছে। তবে সড়কের বুকে গর্ত সৃষ্টি হওয়া স্থানে নতুন বা ভাল মানের কোন ইটের কংক্রিট দিচ্ছেনা।দেখা যাচ্ছে  মেরামতের জন্য পরিত্যক্ত ভবনের সিমেন্টসহ  কংক্রিট দিয়ে গর্ত ভরাট করে  পরিত্যক্ত ভবনের কংক্রিট দিয়ে সড়কের  গর্ত গুলো মেকাডাম করা হয়। এতে পৌর কতৃপক্ষের তদারকি না থাকায়  সড়কের পুনর্নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে  ভবনের কংক্রিট ইটের পরিত্যক্ত গুঁড়া (ডাস্ট)।মেরামতের পর  খুব অল্প সময়েই সড়ক নষ্ট হয়ে যাবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।কেননা চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হলে বাই সড়ক হিসেবে কামাল পাড়া সড়কটি ব্যবহার করে কিছুটা যানজট মুক্ত করতে। এত নিম্মমানের পরিত্যক্ত সিমেন্ট মিশ্রিত ইট দিয়ে সড়ক মেরামত করায় নাম প্রকাশে স্থানীয় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও পৌর প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃবেলাল আহমেদ খাঁন বলেন,আমাদের সড়ক মেরামততে কাজে কোন পরিত্যক্ত ভবনের সিমেন্ট মিশ্রিত ইটের খোয়া দেয়ার নিয়ম নাই।যদিও দিয়ে থাকে আমরা পরিদর্শন করে বিষয়টা দেখব।তবে ঠিকাদার যে ইটের খোয়া ব্যবহার করছে গর্ত ভরাটের জন্য যদি রোলারের চাপে ভেঙ্গে না যায় তাহলে কি ওই ইটের খোয়াকে নষ্ট বা খারাপ বলা যাবে?এরমক কোন পরিত্যক্ত ভবনের সিমেন্ট মিশ্রিত ইটের কংক্রিট ব্যবহার করা যায় কিনা বললে তিনি বলেন ঠিক আছে পরিদর্শনে যায় বলে সংযোগ কেটে দেন।

 

এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক মোঃ শাহিদুল আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি,পৌর প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে তিনি পরিদর্শন করে বিষয়টা জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।