হাটহাজারীতে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে নির্মমভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে পলাতক স্বামী মোজাম্মেল হোসেন (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।দীর্ঘ ৩ মাস পলাতক থাকার পর গোয়েন্দা নজরদারীতে র্যাব-৭ হাটহাজারী ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে শনিবার(১২ নভেম্বর)ভোর ৪টায় সীতাকুন্ড উপজেলা থেকে আটক করে।আটককৃত মোজাম্মেল হোসেন সাতকানিয়া উপজেলার কেউচিয়া গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের পুত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর হাটহাজারী কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান গনমাধ্যমকে জানান, গত ৩০ জুলাই ২০২২ইং সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে হাটহাজারীর মেখল রোড এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে ঘাড় ভাংগা অবস্থায় পুলিশ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকান্ডের পর থেকে নিহতের স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩১ জুলাই নিহতের ভাই বাদী হয়ে স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১/২জনকে আসামী করে হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং--৩৬।দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর র্যাব-৭, গোয়েন্দা নজরদারিতে হত্যা মামলায় জড়িত স্বামীকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় শনিবার ভোর ৪টায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত স্বামী মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোজাম্মেল হোসেন ভিকটিমকে হত্যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকার করে বলেন তিনি। প্রসঙ্গত:গত ২ বছর পূর্বে নিহত ভিকটিমের সাথে আসামী মোজাম্মেল হোসেন এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং পরিবারের লোকজনের অজান্তে তারা বিবাহ করে চট্টগ্রাম নগরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে পারিবারিক কলহের জের ধরে ভিকটিম একা তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে এবং পারিবারেব লোকদেরকে জানায় তার স্বামীর সাথে মনোমালিন্য চলছে। বিভিন্ন কৌশলে আবারো স্ত্রীকে গত ২৮ জুলাই তার স্বামী মোজাম্মেল এর মেখল এলাকার নতুন একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।দিন যেতে না যেতেই পূনরায় তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় এবং ঝগড়ার এক পর্যায়ে মোজাম্মেল ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘাড় ভেংগে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পরে হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।