হাটহাজারীতে শিশু ফাইজা আক্তার হালিমা (৮) কে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে ঘটনায় জড়িত মুলহোতা সহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।রবিবার(২১ জানুয়ারী)রাতে অভিযান চালিয়ে মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোঃ নাছির উদ্দিন (৩৫)কে গ্রেপ্তার করে।এসময় তার স্বীকারোক্তিকে জড়িত মোঃ সাফায়েত হোসেন সাজিদ (১৬)কে আটক করে।আটককৃতরা হল রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের জামছড়ি গ্রামের মৃত মোঃ মাহমুদুল হকের পুত্র নাছির ও শিকারপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের মোঃ সামসুদ্দিনের পুত্র মোঃ সাফায়েত হোসেন সাজিদ।নাছিরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন সুমন।
থানা সুত্রে জানা যায়,নিহত ফাইজা গত ১১ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে বাসার সামনে খেলা ধূলা করতে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু রাত শেষ হলেও বাসায় না ফেরায় নিহতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সাম্ভাব্য সকল স্থানে তাকে খোঁজা খুঁজি করতে থাকে।কিন্তু কোন সন্ধ্যান না পাওয়ায় হাটহাজারী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন,যার নং নং-৮১০।১২/১/২৪ইং।প্রায় ৮দিন পর গত ২০ জানুয়ারী বিকেলে ইডেন নুর ইনিস্টিটিউড অব টেকনোলজির পিছনে শিশুটির অর্ধগলিত পঁচা গন্ধযুক্ত মৃত দেহ দেখতে ফেলে পুলিশকে খবর দেয়।পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে ও নিহতের বাবা আকবর হোসেন বাদি হয়ে মডেল থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন যার নং ১৩। নিহত ফাইজা ভোলা জেলার কাসেম মাঝির বাড়ীর আকবরের কন্যা।বর্তমানে হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের জসিমের ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুজ্জামান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ধর্ষণ করে শিশুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে মামলা রুজুর ২৪ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করি।গ্রেপ্তার হওয়া আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে মামলার ঘটনার মূলহোতা মোঃ নাছির উদ্দিন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।