আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হাটহাজারীতে চুরির অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে যুবককে হত্যা,আটক ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, হাটহাজারী : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৬:১৬:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

হাটহাজারী পৌরসভার নুর মসজিদের পেছনে মাওলানা হাবিবউল্লাহ সাহেবের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের রাহাত (২৫) নামে এক ছিঁচকে চোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল গোফরান। 

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত ছিঁচকে চোর রাহাতের বাড়ি একই পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আলীপুর বদু চৌধুরী বাড়ির ছালামত উল্লাহর পুত্র। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তার নং ২৭।পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোঃ ফয়জুল্লাহ ও মোঃ হাবিবুল্লাহ নামের দুইজনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।

 

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাটহাজারী পৌরসদরের নুর মসজিদের পশ্চিম পাশের মাও. হাবিবুল্লাহর বাড়িতে চুরি করতে গেলে আশেপাশের লোকজনের চিৎকারে স্থানীয় জনগণ এসে তাঁকে ধরে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সকাল ১১ টার দিকে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। নিহত রাহাত একজন পেশাদার চোর ছিলো বলেও জানান স্থানীয়রা। নিহতের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনায় আরো দুটি মামলা রয়েছে বলেও থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়।

 

 

 

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা জানান, গণপিটুনির স্বীকার একজন কে সকালে জরুরী বিভাগে আনা হয়েছিলো তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিলো।

 

হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল গোফরান বলেন, পৌরসভার নুর মসজিদের পেছনে শুক্রবার মধ্যে রাত ৩টার দিকে চুরি করার সময় আশেপাশের লোকজন তাকে ধরে গণধোলাইয়ে দেয়। এতেই তার মৃত্যু হয়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।

 

 

হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গণধোলাইয়ে একজন যুবককে মেরে ফেলেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। থানায় মামলা হয়েছে, জড়িত দুইজন কে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।