শীতের মৌসুম আসলেই বাজারে বিভিন্ন প্রকারের নাম দিয়ে চিড়া কিংবা মুড়ির মোলা বিক্রি করতে দেখা যায়।এই মোলাগুলো আবার ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই খেতে পছন্দ করে।আসলে আমরা প্রতিনিয়ত যে মোয়া গুলো খাচ্ছি কথাটা স্বাস্থ্যসম্মত তা আমরা কেউ জানিনা।শীতের মৌসুমকে ঘিরে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার
হজরত শাহজালাল, আল মদিনা, বিসমিল্লাহ ও শাহ পরানসহ বিভিন্ন অলি গলিতে অলি আউলিয়ার নামে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড, এগারো মাইল কবির চেয়ারম্যান ভবন,মসজিদ গলি ও থানার চারপাশে গড়ে উঠেছে ছোটছোট কারখানা।
অলিত গলিতে বাসা বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সব বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন এই অবৈধ মোয়ার কারখানা।যেখানে গিয়ে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এইসব খাবার।নোংরা পরিবেশে থাকা অস্বাস্থ্যকর খেজুরের রসের সাথে মুড়ি মিশ্রনে নোংরা হাতে তৈরি হচ্ছে এইসব মোয়া।সরজমিনে একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় একটি রুমের মধ্যে মেঝেতে পড়ে আছে মুড়ি এবং গুড়,এরপর একটি নোংরা পাতিলে তৈরি হচ্ছে এসব খাবার।এই খাদ্যগুলো তৈরি করে আবার সুন্দর করে প্যাকেট করে বিক্রি করছে স্থানীয় সব দোকানে। আবার প্যাকেটের মধ্যে দেখা যায় বিভিন্ন শিরোনাম বিভিন্ন লেখা আবার ওই লিখাগুলোর মধ্যে একটা লিখা সবার আগে নজরে পড়ে সেটি হলো নকল হইতে সাবধান।তাহলে এইসব অবৈধ কারখানায় যদি বড় আকারে লেখা থাকে নকল হইতে সাবধান তাহলে আসল জিনিস কোথায় বিক্রি হয় এরকম প্রশ্ন থেকে যায় সাধারণ মানুষের।
এ বিষয়ে কারখানায় থাকা শ্রমিকরা বলেন আমরা সুন্দর পরিবেশে এগুলো তৈরি করছি আমাদের মনে হচ্ছে এখানেই যথেষ্ট পরিমাণ পরিষ্কার রয়েছে।বিএসটিআই এর অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন এটি আমাদের মালিক জানবে আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা আমরা টাকার জন্য এখানে কাজ করছি অন্য বিষয়ে আমরা অবগত নই।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন এবং উৎপাদনের তারিখ ছাড়া এসব চিড়ামুড়ির মোয়া কেন কিনছে তারা প্রশ্নের জাবাবে তারা জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ নেই সেটি খেয়াল করিনি, তারা আমাদের দিয়ে যায় আমরা বিক্রি করি। এতোকিছু খেয়াল করিনা।
এদিকে ভোক্তার বলেন আমরা কিভাবে বুঝব কোনটা আসল বা কোনটা নকল।তারা এমন ভাবে প্যাকেটজাত করে বোঝার কোন উপায় নাই আসলে নকল সনাক্ত করার।কিন্তু শীতকালে যখন এই খাবারগুলা বের হয় বাসার বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যেতে হয়।আসলেই আমরা মোটামুটি বুঝতে পারছি এগুলো স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে না।এগুলো মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতি হচ্ছে।আমাদের মনে হয় ভোক্তারা একটু সচেতন হলে এবং এই সময়গুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটের নজর দাড়ি রাখলে এগুলো বাজারজাত করা আর সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে মুঠোফোন ম্যানেজার মোহাম্মদ এরশাদ বলেন আমরা মৌসুমী ব্যবসায়ী আমরা শুধু শীতকাল আসলেই তিন মাস ব্যবসা করি।আমরা বিএসটিআই থেকে অনুমোদন নিতে হয় সেটি আমরা জানি না।কিন্তু আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় তৈরি করছি।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম মশিউজ্জামান মুঠোফোন বলেন আমি এ বিষয়ে এখনো কিছু আমি জানিনা আমি খবর নিয়ে বিএসটিআইয়ের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআই এর উপ-পরিচালক (মেট) ও অফিস প্রধান মোঃ মাজাহারুল হক বলেন পণ্যটি তাদের আওতাভুক্ত না হওয়ায় চক্রটি সুযোগ নিয়েছে,তবে বিপণনের ক্ষেত্রে তারা যে স্টিকার ব্যবহার করছে তার অনুমোদন নিতে হবে বিএসটিআই থেকে।