আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভাঙনের সুর

সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দুই নেতার পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১ মার্চ ২০২৩ ১১:২৯:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

 

সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, তেলবাজি, সিন্ডিকেট ও নতজানু সাংবাদিকতাসহ নানা অভিযোগ তুলে সংগঠনটির দুই নেতা পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কে মনির এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জয়নাল আবেদীন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সংগঠনটির সীতাকুণ্ড পৌরসভাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সভা চলাকালীন সকল সদস্যের উপস্থিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে স্ব-স্ব পদত্যাগপত্র তুলে দেন দুই নেতা। জানা যায়, গত বছরের ১৪ অক্টোবর সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষা, অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অঙ্গিকার নিয়ে যাত্রা শুরু করে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাব। কিন্তু মাত্র চার মাসের ব্যবধানে সংগঠনটি তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে দু'নেতার এমন অভিযোগে রীতিমত ভাঙনের সুর বাজছে সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবে। এ নিয়ে পদত্যাগী নেতা এম কে মনির ও জয়নাল আবেদীনের সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে মর্মে একটি ঘোষণা ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে পোষ্ট করেন সভাপতি মো. ইউসুফ খান। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংগঠনের প্যাডে লিখা ওই পোষ্টটি আধ ঘন্টার মধ্যে মুছে ফেলা হয়। কিন্তু পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর কিভাবে পদত্যাগী নেতাদের পদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সংঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালেদ মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, এটি সভাপতি ইউসুফ খান নিজের ইচ্ছাতেই করেছেন। সাংগঠনিকভাবে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এজন্য তাকে তিরস্কার করা হয়েছে এবং তিনি সেটি মুছেও দিয়েছেন। একইভাবে সংগঠনের অর্থ সম্পাদক ফারহান সিদ্দিক বলেন, ইউসুফ খান নিজ থেকে এটি করেছেন। এটি কোন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নয়। সভায় এ ধরণের কোন আলোচনা হয়নি৷ তিনি ভুল করেছেন এবং সেটি ডিলিটও করে দিয়েছেন। আপনারাতো পদত্যাগ করেছেন সবার সামনে। সংগঠনের সাধারণ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী মিঠু বলেন, ইউসুফ খান বরাবর স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে চলেন। তিনি কাউকে না জানিয়ে দুজনকে সাময়িক স্থগিত করেছেন। এটি তিনি করতে পারেন না। একটি সংগঠন চলবে সবার মতামতের ভিত্তিতে। একজনের স্বৈরাচারী ইচ্ছায় নয়। ইউসুফ খান সাংগঠনিক গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন। এদিকে সভাপতির এমন পোষ্টের ঘন্টাখানেকের মধ্যে রিপোর্টার্স ক্লাবের নিজস্ব ফেইসবুক পেইজ থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সভাপতি ইউসুফ খানের সকল সদস্য পদ ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই সাথে সভাপতিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দুই নেতা এম কে মনির ও জয়নাল আবেদিনের সদস্য পদ স্থগিতের কারন জানাতে বলা হয়। অবশ্য এ পোষ্টটিও কিছু সময় পর মুছে ফেলা হয়। অন্যদিকে, দুই নেতার পদত্যাগ, পাল্টাপাল্টি পদ স্থগিত ও সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির মত অভিযোগের বিষয়টি সীতাকুণ্ডের স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকে বলছেন সাংবাদিকরা যদি এত অল্পতেই লক্ষচ্যুত হয় সাধারণদের কি হবে?