বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দুবাই প্রবাসী মাওলানা জয়নাল আবেদীনকে সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করেছে সরকার।
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সিআইপি মাওলানা জয়নাল আবেদীন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার
কবির আহমেদের ছেলে ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৩ সালের জন্য তিন ক্যাটাগারিতে বিভিন্ন দেশে থাকা ৭০ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি নির্বাচিত করে তালিকা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রণালয়। উক্ত প্রকাশিত তালিকায় বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর তালিকায় ২৬ নম্বর ক্রমিকে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা জয়নাল আবেদীন।
সিআইপি হওয়ার বিষয়ে দুবাই প্রবাসী মাওলানা জয়নাল আবেদীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রবাসী ভাইদের কল্যাণে আমি সবসময় নিবেদিত ছিলাম। আজীবন দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। সিআইপি হওয়া (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে নির্বাচিত এই অর্জন আমার দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিল। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকব। এবং দুবাইস্থ প্রবাসে অবস্থানরত ভাইদের কল্যাণে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখব।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আগারগাঁও জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে নির্বাচিত সিআইপিদের হাতে সম্মাননা ও সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
যেসব সুবিধা পান এনআরবি-সিআইপিরা
নির্বাচিত সিআইপিদের (এনআরবি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। সিআইপি কার্ডের মেয়াদ থাকাকালীন তাঁরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পান এবং সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। সিআইপিরা দেশ-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পান।
এছাড়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান তাঁরা। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন। হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ চামেলী ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিং ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
সিআইপিরা স্ত্রী-স্বামী, নির্ভরশীল পুত্র-কন্যা ও নিজেদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবিন সুবিধা পাবেন। সিআইপিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা।