আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

সাবেক স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক সন্দেহে পিটিয়ে খুন, গ্রেফতার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:২৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

 

চট্টগ্রামে পরকীয়া প্রেমিক সন্দেহে গার্মেন্টসের সিকিউরিটি সুপারভাইজারকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জড়িত আবদুল জলিলকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, জলিল তার তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে আবু তাহের নামে একজনের পরকীয়া প্রেম আছে বলে সন্দেহ করে আরও দুই জনের সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর কিল্লার হাটে অভিযান চালিয়ে জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবু তাহের (৪৮) কর্ণফুলী ইপিজেডে একটি গার্মেন্টসে সিকিউরিটি সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার প্রতিবেশী রওশন আরা (৩৩) ছেলেসহ একই ভবনে বসবাস করেন। রওশন আরার সাবেক স্বামী আব্দুল জলিল (৪০)। তিনি নোয়াখালীতে থাকেন। মুড়ি-চানাচুর বিক্রি করেন আবু তাহের। রওশন আরা তাকে ভাই বলে সম্বোধন করতেন। আবু তাহেরও ছোট বোনের মতো রওশন আরাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতেন। 

পুলিশ কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, গ্রেফতার আবদুল জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কয়েকদিন আগে ডিভোর্স হয়েছে। এরপর থেকে তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার স্টিল মিল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। আবু তাহের তাদের প্রতিবেশী। ডিভোর্সের পরও আব্দুল জলিল স্ত্রী রওশন আরাকে ফোন করে পুনরায় সংসার করার অনুরোধ করতেন। এরপর খোঁজ করে জলিল গত ১৪ ডিসেম্বর তার ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীর বাসায় চলে আসেন ও রাতে থাকেন। ১৫ ডিসেম্বর জলিল বাইরে গেলে রওশন আরা ১২ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

আব্দুল জলিল কিছু সময় পর বাসায় ফিরে রওশন আরাকে না পেয়ে আবু তাহেরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। জলিল ধারণা করেন, রওশন আরা এবং তার ছেলেকে আবু তাহের লুকিয়ে রেখেছে। এছাড়া রওশন আরার সঙ্গে আবু তাহেরের অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলেও আব্দুল জলিল সন্দেহ করতেন। একপর্যায়ে রওশন আরাকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে যান জলিল।

১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে আব্দুল জলিল রওশন আরার এক মামাত ভাই এবং মামাত বোনের স্বামীকে আবু তাহেরের বাসায় আসেন। তারা আবু তাহেরকে ডেকে নিচে নিয়ে যান। নিচে আসার পর আব্দুল জলিল ও তার সঙ্গীরা আবু তাহেরকে কিল-ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে। পরে আবু তাহেরকে স্থানীয়রা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ ডিসেম্বর ভোরে আবু তাহেরের মৃত্যু হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, আবু তাহেরের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আব্দুল জলিল পালিয়ে যায়। ঘটনার পর আবু তাহেরের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পতেঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোয়াখালীর কিল্লার হাট এলাকা থেকে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

 

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়