বাঁশখালী উপজেলায় সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিখোঁজ জেলের পরিবার ও স্বজনরা তার ফিরে আসার আশায় তীরে অপেক্ষা করছেন।
রবিবার ভোররাতে ছনুয়া মনুমিয়াজী ঘাটের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে মাছ ধরতে গিয়ে মোহাম্মদ এহসান (২৮) নামের এই জেলে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ এহসান ছনুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হমর আলী পাড়া এলাকার আবুল বশরের ছেলে। এহসান এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো এহসান ভোররাতে টাঙ্গাগোয়া জাল নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যান। পরে তার জাল ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেলেও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার স্বজনদের কান্নায় সাগরপাড়ের আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। এহসানের পরিবার ও স্বজনরা তার ফিরে আসার আশায় তীরে অপেক্ষা করছেন। উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় জেলেরাও অংশ নিয়েছেন। তবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আলম নুরু জানান, যেখানে এহসান নিখোঁজ হয়েছেন সেটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এলাকা। এর আগেও একই স্থানে বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই জায়গায় মাছ ধরতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ৪ জন জেলে মারা গেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহেল রানা বলেন, ছনুয়ার ওই এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি জানান, ওই এলাকায় সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙানো হোক, যাতে আর কেউ এমন দুর্ঘটনার শিকার না হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ জুলাই ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাটের দক্ষিণে কুতুবদিয়া চ্যানেলে নিখোঁজ হন ছনুয়া ৪নং ওয়ার্ডের আবু তাহের মিয়ার ছেলে নেজাম উদ্দিন। পরে ৩০ জুলাই ঘটনাস্থলে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। ২০১৪ সালে নিখোঁজ হন নিখোঁজ হন আবদুল কাদের ও আবদু শুক্কুর নামে দুই যুবক। তাদের মরদেহ পাওয়া যায়নি।