আজ শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩রা কার্তিক ১৪৩১

সরকারি জায়গা দখল করে লেক খননের অভিযোগ

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫৬:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

বন বিভাগের বাধা এবং আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সরকারি ভূমি দখল করে লেক খননের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি আযান নিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তি হালদা ভ্যালী ট্রি স্টেটের চেয়ারম্যান ও পেডরোলো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের খাঁনের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের রামগড়-সীতাকুন্ড রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার বাদুরখিল ব্লকের বাদুরখিল মৌজার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আনন্দপুর অর্জনতলি নামক স্থানে সরকারী জায়গা দখল করে গত কয়েকদিন ধরে এক্সকেভেটর দিয়ে লেক খনন করে আসছিল হালদা ভ্যালী চা বাগান কর্তৃপক্ষ। গত ২২ ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার) বিকালে এ খনন কাজে বাঁধা দেন বন বিভাগের নারায়ণহাট রেঞ্জের কর্মকর্তারা। এ সময় লেক খনন কাজে বাধা দিতে গেলে দুইটি এক্সকেভেটর রেখে খনন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নারায়নহাট রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মোঃ ইলিছুর রহমান জানান, বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি ক্রমাগত জবর দখল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় বনবিভাগ বিভিন্ন সময়ে হালদাভ্যালী চা বাগানের মালিকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি/ভূজপুর থানায় এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বন আদালতে নারায়ণহাট রেঞ্জের বালুখালী বিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে প্রায় ১৫/২০টি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও আদালতে আরো একটি মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার আবার ওই স্থানে স্কেকেভেটর দিয়ে মাটি কাটেন হালদা ভ্যালী চা বাগানের চেয়ারম্যান নাদের খানঁ গং। আমি নিজে স্ব-শরীরে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে মাটি কাটতে বাধা প্রদান করি এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আনি। আদালতের আদেশ অমান্য করে মাটি কাটার কারণে আমি মহামান্য আদালতে পুনরায় অভিযোগ প্রদান করব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বন বিভাগ কর্তৃক অপর-৩০৬/২০১৬ নম্বর মামলা দায়ের করে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করা হলে বন বিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত ফটিকছড়ি উপজেলার বাদুরখিল মৌজার আর. এস দাগ নং- ২২৯, ৩০০, ৩৯৭, বি. এস ৪১২, ৪১৪, ২০০ নং দাগসহ অপরাপর ৯৫২.৯৬ একর সংরক্ষিত বনভূমিতে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেন। এছাড়াও বন মামলা নং ১৫৪/১৯ এ চা বাগানের দুই কর্মকর্তা কারাভোগ করেন। এ ব্যাপারে চা বাগান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে বাগানের ব্যবস্থাপককে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে শুক্রবার দুপুর নাগাদ সরেজমিন গিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এ সব জায়গা হালদা ভ্যালীর ১৩৪ একর বন্দোবস্তিকৃত সম্পত্তির আওতাভুক্ত। সরকারী আদেশ অমান্য করেনি বলেও জানান চা বাগান কর্তৃপক্ষ।