‘রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দলগুলো শর্তহীনভাবে সংলাপে বসবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে’— এমন আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। সোয়া ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দেখতে চাই।’
‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা রাজনৈতিক দল, সরকার, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া অবমূল্যায়ন করে এমন যেকোনো প্রতিক্রিয়া, ভোটাধিকার প্রয়োগ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’
পিটার হাস বলেন, ‘যেকোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো স্থান নেই। আমি আশার করি, সব পক্ষ শর্তহীনভাবে সংলাপে বসে সামনের দিকে এগোবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে।’
এদিকে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্ধারিত পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা এ ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে আছি।’
তিনি বলেন, ‘পরিবেশ প্রতিকূল হলে নির্বাচন করা হবে না, এ ধরনের কোনো ভুল বোঝাবুঝি যেন জনগণের মধ্যে না থাকে।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ কেমন— পিটার হাস সেটি জানতে চেয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের হাতে কোনো অপশন নেই। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন অপশন থাকে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও পারে, নাও করতে পারে। তারা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, আবার জোট করেও নির্বাচন করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশন আছে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই ধরনের কোনো অপশন নেই।’