সন্দ্বীপে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে
এ ছাড়া উক্ত মামলায় আরো ৬০/৬৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে এজহাজারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনের একটি দল সশস্ত্র অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আসামিরা লোহার রোড, লাঠি, কাঠের গুঁড়ি, ইটের টুকরোসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সন্দ্বীপ থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর জয়নুল আবেদীন বাদী হয়ে ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন— উরিরচর ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাহাত তালুকদার (৩৫), মুছাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে, আকরাম হোসেন (২৯), মগধরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সামছুল আলমের ছেলে রবিউল আলম সমীর (৪২), পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম মের পুত্র ভিডিও সুমন (৪২), গাছুয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের পুত্র আদনান জাভেদ (৩৭), সন্তোষপুরের রুবেল, গাছুয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল, বাউরিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালাবলীর ছেলে ফরিদ (৩৭), কালাপানিয়ার মিলাদ, মাইটভাঙা ২ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজুর রহমানের ছেলে তসলিম(৪০), ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুখু মিয়ার ছেলে করিম(৩৯), দীর্ঘাপার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজাম উদ্দিনের পুত্র রিজভী (৩০), মুসাপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম মেম্বারের ছেলে সোহাগ সিকদার(২৫), পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলমের পুত্র শাহাদাত(৩৮), পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছিদ্দিকের পুত্র বাবুল ওরফে লোহা বাবুল( ৩৪), পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে শাকিব (২৯), কালাপানিয়ার ডাক্তার শাহাজানের পুত্র আরমান ওরফে মিঠু(৪৯), সন্তোষপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দিনের পুত্র আলমগীর হোসেন রক্সি (২৫), মুছাপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের ছেলে আনোয়ার( ৩৫) প্রমুখ।
পুলিশ জানায়, ওই দিন সন্তোষপুর ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনের জনসভা ছিল। সভাশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশিরভাগ নেতাকর্মী চলে যায়।
২০-২৫ জনের একটি দল মুন্সিরহাট বাজারের দিকে যাওয়ার সময় আকস্মিক নৌকা মার্কার স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী।
এ সময় পুলিশ নৌকা মার্কার সমর্থকদের বাধা দিলে চারদিক থেকে নৌকা মার্কার সমর্থনে শত শত নেতাকর্মী এসে পুলিশের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় আসামিরা মার, মার পুলিশকে মার বলে স্লোগান দিতে থাকে।
পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) চট্টগ্রাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীতাকুণ্ড সার্কেল, সন্দ্বীপ থানার ওসি, ডিবি পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ভিডিও সুমন ও আলমগীর হোসেন রক্সি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্য আসামির সম্পৃক্ততা জানা গেছে।
সন্দ্বীপ থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।