চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পদুয়ায় আধারমানিক হাঙ্গর খালের উপর নির্মানাধীন ব্রীজ নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ঠিকাদারের বক্তব্য চাইতে গেলে সাংবাদিকদের উপর তেড়ে গিয়ে মোবাইল ভাংচুর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় হামলার শিকার দৈনিক দৈনিক আজাদী অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
অভিযুক্ত ঠিকাদার মনজুর আলম প্রকশ মনজুর কন্ট্রাক্টর (৬০), লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড স্কুল রোড এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে।
রবিবার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের সময় লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনাটি ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় শিকার সাংবাদিক আবদুল আউয়াল জনি জানান, লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া আধারমানিক সড়কে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে হাঙ্গর খালের উপর নির্মানাধীন ব্রীজের কাজে অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে ঠিকাদার মনজুর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সংবাদের ভিডিও সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত (ওয়ান প্লাস ১০ প্রো ৫জি) মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং আমাদেরকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর করে মেরে লাশ গুম করিবে মর্মে হুমকি ধমকি সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিসি টিভি এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইলে ভিডিও সংরক্ষিত আছে। এবিষয়ে আমি লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেছি যাহার নং- ১৩৭।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ঠিকাদার মনজুর ও তার শ্রমিকরা গত বছরের ২০ জুন কক্সবাজার জেলায় মডেল মসজিদ নির্মান কাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে সাংবাদিক নেতা এডঃ আয়াছুর রহমান এর উপর হামলা চালায়। উক্ত ঘটনার ঠিকাদার মনজুর সহ তার দলবল'কে পুলিশ গ্রেফতার করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলা ও মোবাইল ভাংচুর এর বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বস্ত করেন তিনি।