রাঙ্গুনিয়ায় বেদখলে থাকা ৩ একর ১৮ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা রাজস্ব প্রশাসনের সাড়াশি অভিযানে এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাসরত ভূমিদস্যুসহ নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং লাল পতাকাসহ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়।
এবার এই জমিগুলোতে আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশদুল আলম জানান, উপজেলার কাউখালী ইউনিয়িনের ডেমিরছড়া নামক স্থানে ৩৭ শতক, চট্টগ্রাম-রাঙ্গুনিয়া হাইওয়ের পাশে জংগল পোমরা নামীয় স্থানে ৯৪ শতক, ঘাগড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ২৭ শতক, টিসিহাট এলাকার গুমাই ঝিলে ৪০ শতক এবং শিলক ইউনিয়নের জঙ্গল সরফভাটায় ১ একর ২০ শতক খাস জায়গাসহ মোট ৩ একর ১৮ শতক খাস জমি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে খাস জমির কাস্টডিয়ান হিসেবে গত জুলাই মাসে যোগদান পরবর্তী সময় হতেই বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের অফিস আদেশ প্রদান করি।
এরই ভিত্তিতে ইউনিয়নওয়ারী একটি প্রাথমিক তালিকা হতে যাচাই বাছাই করে এসব জমি উদ্ধার করা হয়েছে। বিগত ৫ ও ৯ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী এসব খাস জায়গা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং অবৈধ দখলদার ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এখন উদ্ধারকৃত জায়গা সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইউএনও আতাউল গনি ওসমানী জানান, উদ্ধারকৃত জায়গাসমূহে গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শতক প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে ধরেও উদ্ধারকৃত এ খাস জমির সর্বনিম্ন বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ষাট লক্ষ টাকা। তবে এসব জমির বাজার মূল্য দুই কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।