আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাঙ্গামাটিতে বছরে শতকোটি টাকার কলা বাণিজ্য

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৪০:০০ পূর্বাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

 

 

পাহাড়ে আদিকাল থেকেই চাষ হয়ে আসছে কলা। আগে পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে কলার উৎপাদনের ওপর কৃষকরা নির্ভরশীল হলেও সময়ের ব্যবধানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেড়েছে কলা চাষ। জুম পাহাড়ের অন্যান্য ফসলের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে কলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

পাহাড়ে মাটিভেদে বিভিন্ন জাতের কলার চাষ হয়। পাহাড়ে কলা চাষে কীটনাশক ব্যবহার হয় না বললেই চলে। এছাড়া ফলন ভালো হওয়ায় রাঙ্গামাটির কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে কলা।

কৃষক ও কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাঙ্গামাটিতে প্রতি বছর শতকোটি টাকার কলা বেচাকেনা হয়।

কৃষি বিভাগ জানায়, পাহাড়ে কয়েক ধরনের কলা চাষ হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই জাতের কলা দেখা যায়। একটি বাংলা কলা। স্থানীয় ভাষায় এর নাম কাট্টলি কলা। অন্যটি চাঁপা কলা, স্থানীয় নাম চম্পা। উঁচু পাহাড়ের মাটিতে জন্মায় বলে এগুলোকে পাহাড়ি কলাও বলা হয়।

 

এছাড়া সাগর কলাসহ আরও বেশকিছু জাতের কলা চাষ হয়। পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় চাঁপা কলার চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয় বাংলা কলা। পাহাড়ে বাংলা কলারই চাষ বেশি হয়। কম পরিশ্রম ও অধিক মূল্যের কারণে কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

সারা বছর কলার ফলন হলেও আগস্ট থেকে নভেম্বরে ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময়ের কলা আকারেও বড় হয়।

 

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলার ১১ হাজার হেক্টর এলাকায় কলার চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার টন। ওজন বিবেচনায় উৎপাদিত কলা প্রতি ছড়া (কাঁধি) গড়ে ১০০ টাকা হিসেবে বিক্রি হলে বছরে শতকোটি টাকার ব্যবসা হয়।

 

ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন বলেন, রাঙ্গামাটির পাহাড়ি কলা মান ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এ কারণে চাহিদাও বেশি। তাই প্রতি মাসে রাঙ্গামাটি থেকে ২-৩ ট্রাক কলা ঢাকায় নিয়ে যায়।

বালুখালী থেকে বনরূপার সমতা ঘাটে কলা বিক্রি করতে আসা কৃষক আনন্দ মোহন চাকমা বলেন, গত বছর যে দাম পেয়েছি, এবছর সেটা পাচ্ছি না। ফলে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ওজনের কারণে পাহাড়ে উৎপাদিত কলা বাজারে আনা কষ্টসাধ্য এবং খরচও বেশি। এরপরও অন্যান্য বছর যে লাভ হয়, এবার সেটা পাইনি।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন, পাহাড়ে এবছর ১১ হাজার হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য শতকোটি টাকা।