বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক ড,হাসান মাহমুদ এম পি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ রাজপথের রাজনৈতিক দল। জনকল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। অপরদিকে বিএনপি জামাত জোট দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে। অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে। দলটি নির্বাচন ভয় পায়। সৎ সাহস থাকলে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। তারা ঘোলা পনিতে মাছ শিকার করতে চায়। আওয়ামী লীগ এই জোটের বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি দেয়নি। শান্তি সমাবেশ করছে। তারা কৌশল করে পিছনে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। সেই সুযোগ দেশে নেই। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হবে। এটাই সাংবিধানিক নিয়ম। যারা তের, চৌদ্দ, পনের সালে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, যারা এতদিন আত্মগোপনে ছিল এলাকা থেকে পালিয়ে ছিল তাদের কে আবার এনে অগ্নিসন্ত্রাস করানো, নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেস্টার উদ্দেশ্য হিসেবে বিএনপি সমগ্র দেশে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে। তারা বার বার সরকার পতনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনের ভয় দেখায়। আওয়ামীলীগ রাজপথের দল। আওয়ামীলীগ রাজপথ থেকে গড়ে উঠা দল। জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনীতি করে। কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করেনা জনগণের জন্য কাজ করতে রাজনীতি করে আওয়ামীলীগ। ক্ষমতায় থাকুক কিংবা না থাকুক আওয়ামীলীগ রাজপথে থাকবে। তাই আওয়ামীলীগ কে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বিএনপির কাজ দিনে পদযাত্রা আর রাতে কূটনীতিকদের পদলেহন করা। কোন কূটনৈতিক কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবেনা। এ দেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। আওয়ামীলীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। সবসময় জনগণের ভোট নিয়ে সরকার গঠন করেছে আগামি নির্বাচনেও করবে।সারাদেশে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে হাটহাজারীতে ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে কেন্দ্র ঘোষিত শান্তি সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ শামীম এর সভাপতিত্বে ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি বলেন, পদযাত্রার বিপরীতে আওয়ামীলীগ পাল্টা কোন কর্মসূচী দেয় নাই। এ দেশে চোর ডাকাতরা যাতে বিশৃংখলা করতে না পারে, রাজনীতির নামে যারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, যারা হাত পায়ের রগ কাটে তারাও যেন কোন বিশৃংখলা করতে না পারে সেটা দেখা নেতাকর্মীদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই আওয়ামীলীগ শান্তি সমাবেশ দিয়েছে। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনা তারা পারে বিশৃংখলা করতে। সামনে নির্বাচনে আবারো বর্তমান সরকারকে বিজয়ী করতে নির্বাচন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জনগণকে সরকারের উন্নয়নের চিত্রগুলো তুলে ধরুন। চৌদ্দ বছর আগে কি ছিল আর এখন কি আছে। উন্নয়নের কারনে জনগণ এমনিতেই বর্তমান সরকারকে আবারো ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করবে। সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হক সুমনের উপস্থাপনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. এ সালাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব ইউনুছ গণি চৌধুরী, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম রাশেদুল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এডভোকেট দিদারুল আলম বাবুল, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, মো. সেলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, উত্তর জেলার মহিলা সম্পাদিকা বাসন্তী প্রভা পালিত,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম বাসেক, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল আইস, হাটহাজারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি সরোয়ার মোর্শেদ তালুকদার, স্থানীয় চেয়ারম্যান জায়নুল আবেদীন, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হোসেন চৌধুরী তপু, সম্পাদক মো. রেজাউল করিম প্রমূখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ প্রচার কমিটির রাশেদুল ইসলাম রাসেল। শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে পাঠ করেন ফতেপুর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, গীতা পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক বাবু জগদীশ। এ ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান, উত্তর জেলা যুবলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি নাছির হায়দার করিম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ খালেদ চৌধুরী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক সাহেদ সরোয়ারসহ জেলা, উপজেলা, হাটহাজারী পৌরসভা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ।