আজ শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

যত্রতত্র ময়লা ফেললে ‘জেলে’ দেবে চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ ১১:১৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

জুনের মাঝামাঝি তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে পানি বন্দি হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকার বাসিন্দারা। আগামীতেও এই পরিস্থিতি হলে কিভাবে পুরো বর্ষা কাটবে তা নিয়ে দুচিন্তার শেষ নেই। এমন বাস্তবতায় জলাবদ্ধতার হাত থেকে বন্দরনগরীকে বাঁচাতে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১’ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক। যেখানে সেখানে ময়লা ফেললে শাস্তি— ২ লাখ টাকা জরিমানা, ২ বছরের জেল বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে অপরাধী।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) চসিকের ১৭তম সাধারণ সভায় এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সভায় নগরীর বিভিন্ন ড্রেন, খাল-নালা ও বিভিন্ন স্পটে বাসা-বাড়ির বর্জ্য ফেলায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সচেতনতা সৃষ্টিতে মাইকিংসহ গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারের পরে কঠিন শাস্তির কথা ঘোষণা করেন তিনি।

এদিকে, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করছেন— যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে ড্রেন, নালা ভরাট হয়ে জুনের মাঝামাঝি সময়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পর নিচু এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন মেয়র রেজাউল। এসময় চকবাজার সংলগ্ন চাক্তাই খালে তিনি দেখতে পান খালে তোষক, বালিশ এমনকি আস্ত ফার্নিচারও ফেলে দেওয়া হয়েছে। যা খাল ও ড্রেনের স্বাভাবিক পানির গতিপ্রবাহ আটকে দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। তাছাড়া খালে পাইলিংয়ের মাটি, ককশিট, বাসা-বাড়ির বর্জ্য ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার বিষয়টি একদমই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প মেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে তার আওতায় নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা নর্দমার মাটি উত্তোলন, পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করার জন্য পুরোদমে কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার নগরীর ১৮টি ওয়ার্ডে একযোগে চসিকের বিশেষ দলের মাধ্যমে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হয়েছে।

তাছাড়া চট্টগ্রাম নগরীতে ভবন নির্মাণ করতে হলে সিটি কর্পোরেশন থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালুর দাবি করেন মেয়র রেজাউল। তিনি বলেন, সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সাথে মিল রেখে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। এই মাস্টারপ্ল্যানে চসিকের প্রতিটি ওয়ার্ডে এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) ও টিজি স্থাপনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নগরীতে ইমারত বা টাওয়ার নির্মাণ করতে গেলে যে প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া হবে তাতে চসিকের ছাড়পত্র নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। তা না হলে নগরীর জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তা নিরসন সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।

 

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়