আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। মিরসরাইয়ের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং মাহবুব উর রহমান রুহেল এমপির আনুকূল্য লাভের চেষ্টায় সক্রিয় রয়েছেন প্রার্থীরা। দলীয় প্রতীক ছাড়া এ নির্বাচন প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও শেষ পর্যন্ত মাহবুব উর রহমান রুহেল এমপির সবুজ সংকেত যিনি পাবেন তিনিই হবেন পরবর্তী উপজেলা চেয়ারম্যান! এমনটি জনসাধারণের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।
আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সমাজ সেবক ও তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা মরহুম আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়ার বড় সন্তান লায়ন মোঃ মোজাহের হোসেন চৌধুরী (সোহেল) এর নাম ।
মিরসরাই উপজেলার বরেণ্য শিল্পপতি সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী হিসেবে একজন সফল মানুষ ছিলেন মরহুম আজহরুল হক চৌধুরী নওশা মিয়া। আজীবন তিনি শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি অকাতরে সমাজের অবহেলিত মানুষদের মাঝে দান করে এলাকায় একজন দানবীর সুখ্যাতি অর্জন করেন। সমাজের অসহায় মানুষের সুঃখ দুঃখে সবার উপরে উঠে আসতো মরহুম আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়ার নাম। দীর্ঘদিন তিনি সুনামের সাথে মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মিরসরাই পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্নাঢ্য জীবনে জয় করেছিলেন সাধারণ মানুষের মন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন রাজনৈতিক দল-মতের উর্ধ্বে সব শ্রেনী পেশার মানুষের । তার মৃত্যুর পর পরিবাবের পক্ষ থেকে সন্তানরা সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা পালন করলেও রাজনীতির পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেননি । আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পার্থী হয়ে জনগণের সেবা করতে চান নওশা মিয়ার বড় ছেলে মোঃ মোজাহের হোসেন চৌধুরী।
লায়ন মোঃ মোজাহের হোসেন চৌধুরী (সোহেল) জানান, আমার বাবা মরহুম আলহাজ্ব আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়া স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সফল মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের একনিষ্ঠ আস্থাভাজন হিসেবে রাজনীতিতে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে মিরসরাই পৌরসভার প্রথম প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি বাবাকে দেখেছি মৃত্যুর পুর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত মানুষের কল্যানে কাজ করতে। বাবার রক্ত আমার শরীরে প্রবাহিত। আমিও সুযোগ চাই রাজনীতির পাশাপাশি বাবার মতো মানুষের সেবা করতে। আশা করি আমাকে মানুষ বাবার মতো করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রায় দিয়ে নির্বাচিত করে আরো বড় পরিসরে সেবা করার সুযোগ দিবেন। আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটের মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
লায়ন মোঃ মোজাহের হোসেন চৌধুরী (সোহেল) ১৯৮৮ সালে মিঠাছড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত এস.এস.সি এবং ১৯৯০ সালে নিজামপুর কলেজ থেকে এইচ,এস,সি এবং ১৯৯২ সালে অত্র কলেজ থেকে বি.এ. এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৯৪ ইং সালে ইসলামী ইতিহাস বিভাগ থেকে এম.এ. পাস করেন।
বর্তমানে তিনি পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে মজহারুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ এর ৪র্থ বার নির্বাচিত সভাপতি।
কর্মক্ষেত্রে লায়ন মোঃ মোজাহের হোসেন চৌধুরী (সোহেল) পারিবারিক পৈত্রিক ব্যবসার পাশাপাশি গাড়ী আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ.এইচ, এন্টারপ্রাইজ এন্ড কোং নামক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী । একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে লায়ন মোঃ মোজাহের হোসেন চৌধুরী, একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি হিসাবে সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজের অবদান রেখে যাচ্ছে।
লায়ন মোঃ মোজাহের হোসেন চৌধুরী (সোহেল) পিতার বর্নাঢ্য জীবন অনুসরণ করে পারিবারিক ব্যবসার পাশাপাশি যেসব সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা পালন করছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সভাপতি, আলহাজ্ব মজাহারুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, সভাপতি কিছমত জাফরাবাদ এস.এম. সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সহ-সভাপতি, (ওয়াকফ্ এস্টেট), গাজীয়ে বালাকোট শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ নিজামপুরী (রহ.), পরিচালক গুলিস্তান সি.এন.জি পেট্রোল পাম্প, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গুলিস্তান প্রোপাটিস্ লিঃ, সভাপতি আলহাজ্ব আজহারুল হক চৌধুরী ফাউন্ডেশন, দাতা সদস্য- মিঠাছরা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, পরিচালক- এম.এইচ.বি.আই ব্রিক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ, এফ.বি.বি.আই, ব্রিক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ, সদস্য- মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ।