আজ বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫শে পৌষ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে বালু সরবরাহ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই: | প্রকাশের সময় : সোমবার ৬ জানুয়ারী ২০২৫ ১১:০৯:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৮২ কোটি টাকা ব্যায়ে বিজ্ঞানাগার নিমার্ণের বালু সরবরাহ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় দলের ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান (৪৮), জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন (শিবির জামাল) (৩৯), যু্বদল কর্মী মো. মামুন (৩৫), জামায়াত কর্মী আলাউদ্দিন (৩৬)। এদের মধ্যে গুরত্বর আহত হওয়ায় জামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজ্ঞানাগার নির্মাণের বালু সাপ্লাই নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সাথে সকালে কথাকাটি হয়। পরে ২ গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জোরারগঞ্জ বাজারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে মারামারি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এবিষয় বিজ্ঞানাগার নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম বলেন,‘নির্মাণ কাজের বালু ভরাটের কাজ কোন গ্রুপের লোকদের দেওয়া হয়নি। স্যাম্পলের জন্য বালু নিয়ে আসলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।’

ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান জানান, বালু বরাটের কাজ তাদের লাইসেন্স জোরারগঞ্জ এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বালু বরাটের সময় বাধা সৃষ্টি করে। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে জামায়াতের হেলমেট বাহিনী, প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর। এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।

জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাঈন উদ্দিন জানান, এটি ব্যবসায়ীক ঘটনা। হামলার বিষয়ে নিন্দা জানাই। বিএনপির নেতাদের সাথে বসে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর নুরুল হুদা হামিদী বলেন, নির্মাণকাজের বালু সরবরাহের দায়িত্ব পায় জেএস এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু বালু পাঠানোর পর বিএনপির লোকজন আটকে দেয় এবং নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে জামাল, আলী ও আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আহত হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিএনপির সাথে বসবো।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ‘জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে রাজনৈতিক ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের টিম এসে ঘটনার নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’