দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মিরসরাইয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল। এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাইতকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহিদুল ইসলাম, জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন, ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু সুফিয়ান বিপ্লব, খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এম আলাউদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা ফেন্সী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম দিদারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উর রহমান রুহেল এমপি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি সারা দেশের ন্যায় মিরসরাইয়েও শান্তিপূর্ণ ভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু দুষ্কৃতিকারি মিরসরাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন পরবর্তী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা ইতমধ্যে ডোমখালী এলাকায় জেলেদের একটি মাছ ধরার নৌকা, কয়েকটি জাল পুড়ে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা। এছাড়া থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে তা তদন্ত করে তারপর মামলা নেওয়া উচিত। নির্বাচনে প্রছন্দ মতো প্রার্থী বেচে নেওয়া ও কাজ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। নির্বাচন যেহেতু শেষ তাই সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। মিরসরাইয়ের আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ শান্তিপূর্ণভাবে বজায় রাখার জন্য জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, জনপ্রশাসন সহ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’