আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনায় দুইদিন ধরে নিঁখোজ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে এসে দুই ধরে নিঁখোজ রয়েছেন সিফাত আর মজুমদার (২১) নামে এক শিক্ষার্থী। সে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটানেটিভ এর ব্যাচেলর অফ ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। ঝরনা দেখতে ১৩জন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে তারা গত মঙ্গলবার সকালে মিরসরাই আসে। দুপুরে ঝরনায় যাওয়ার পর হঠাৎ নিঁখোজ হয়ে যায় সিফাত। 

নিঁখোজের খবর পেয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঝরনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা।

সিফাতের বড় ভাই রিফাতুর রহমান মজুমদার বলেন, আমরা তিন ভাই বোনের মধ্যে সিফাত দ্বিতীয়। সে তার বন্ধুদের সাথে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখার জন্য সোমবার রাতে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে মিরসরাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। মঙ্গলবার সকালে তারা মিরসরাই পৌঁছে ঝরনা এলাকায় যায়। তারা ১০ জন ছেলে ও ৩ জন মেয়ে সহ মোট ১৩ জন ছিলো। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আমার ভাই নিঁখোজ হওয়ার বিষয়ে তার বন্ধুরা আমাদেরকে জানায়নি। সারাদিন তার কোন খবরাখবর না পেয়ে আমি তার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করি। পরবর্তীতে তারা বলে দুপুরে ঝরনা থেকে আমার ভাই নাকি নিঁখোজ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমার ভাই নিঁখোজ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে তারা মিরসরাই এনে গুম করেছে। আমি তার সহপাঠিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, খৈয়াছড়া ঝরনায় শিক্ষার্থী নিঁখোজের বিষয়ে আমরা মঙ্গলবার রাত ৮টায় খবর পাই। পরবর্তীতে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তার সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু ঝরনা এলাকায় শিক্ষার্থী সিফাতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেষ রায় বলেন, খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় শিক্ষার্থী সিফাত নিঁখোজের ঘটনায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনগণ বুুধবার সকাল থেকে খুঁজতেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রায় ৪০ জনের একটি গ্রæপ তাকে খোঁজার চেষ্টা করতেছেন।

তিনি আরো বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে সিফাতকে গুম করার বিষয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।