ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী অধ্যাত্ম শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফ লাখো ভক্তের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হযরতের জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা সভা, রাতভর ছেমা ও মিলাদ মাহফিল, জিকির আসগার, তবারক বিতরণ এবং রাতের শেষভাগে বিশ্ব শান্তির কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া রহমান মনজিলের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত শাহসুফী সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। লাখো ভক্ত-অনুরক্তের অংশগ্রহণে ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার শরীফ এক মহা মিলন মেলায় রূপ নিয়েছে। শত বৎসরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর অলীর ওফাত (তিরোধান দিবসে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত ভক্ত অনুরক্ত আশেকের সমাগমে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মাইজভাণ্ডারে ভক্ত, অনুরক্তরা আসেন দেশ বিদেশের নানা স্থান থেকে। শীত উপেক্ষা করে নামে মানুষের ঢল। জানা যায়, ওরশ উপলক্ষে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিওচিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়ে ওরশ স্থল। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সবসময় টহলের ব্যবস্থা করা হয়। যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথা, ফটিকছড়ি সদর ও নানুপুর লায়লাকবির বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে বিশেষ ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে- গলিতে সিসি ক্যামরা স্থাপিত হয়েছে, পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। পুকুর আবর্জনামুক্ত রাখা এবং প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্রাম্যমাণ স্যানিটেশনের ব্যবস্থা, যোগাযোগের জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়। এদিকে প্রতি বছরের মতো ওরশকে কেন্দ্র করে মাইজভাণ্ডারের ৩৪ মাইল এলাকায় বিশাল মেলা বসেছে। এতে কৃষি ব্যবহার্য পণ্য, কুটির শিল্প, গ্রামীণ গৃহস্থালী সামগ্রী, চুড়ি, বাঁশি, খেলনা, পিঠা, মোয়াসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা হয়। মেলার এবারের সবচেয়ে আকর্ষনীয় জাপানী জাতের ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের মুলা। ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজি মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, ১০ মাঘ উপলক্ষে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আইনশৃংখলা রক্ষায় থানা পুলিশ, আনসার ও দুই সহস্রাধিক বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিল।