আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভূজপুর পাবলিক হাই স্কুলে নানা সমস্যায় সুশিক্ষা ব্যহত হচ্ছে

সালাহউদ্দিন জিকু, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:০২:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম
ভূজপুর পাবলিক হাই স্কুলের দ্বিতল ভবন

শিক্ষা মানুষকে উন্নত করে। উন্নত করে জাতিকে। আর এই জাতিকে উন্নত করতে নানাবিধ অবদান রাখে সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন পশ্চিম ভূজপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ভূজপুর পাবলিক হাই স্কুল তেমনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এলাকায় শিক্ষা বিস্তার, প্রচার ও প্রসারে অনবদ্য অবদান রাখছে ভূজপুর পাবলিক হাই স্কুল। ১০২ শতক জায়গার উপর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয় ২০০৩ সালে। বিদ্যালয়ের জায়গা পর্যাপ্ত থাকলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বলতে এলাকার বিশিষ্টজনের চাঁদা ও এহইয়াইসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আর্থিক অনুদানে নির্মিত একটি দুতলা ভবন, একটি সেমি পাকা ভবন(নির্মানাধীন)। ১০টি শ্রেনী কক্ষ ২টি অফিস কক্ষ নিয়েই বিদ্যালয়ে পাঠদান চালানো হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ৩৯৮জন। তাদের পাঠদানে নিয়োজিত আছেন ১০জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। সরকারি বিদ্যালয়ে দু'একজন দপ্তরি থাকলেও এ বিদ্যালয়ে তা নেই। তাই দপ্তরির কাজ ছাত্র ছাত্রী বা শিক্ষককে পালন করতে হয়।

বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান মোটামুটি ভালো। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণ ও নানাবিধ সমস্যা সুশিক্ষাকে ব্যহত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ,ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার বিশিষ্টজনরা। বিদ্যালয়ে সুশিক্ষার উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হতে হলে বিদ্যালয়কে এমপিও ভূক্ত করার জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এলাকাবাসীর সহায়তা বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেতন, শহীদ মিনার নির্মাণ, বিদ্যালয়ের মূল ফটকে গেইট নির্মাণ করা হলেও বিদ্যালয়ের চতুর্পাশে সীমানা প্রাচীর দেয়া সময়ের দাবী। যার কারণে বখাটেদের উৎপাতের অভিযোগ করেছেন সচেতন মহল। এছাড়া শিক্ষকদের বেতন প্রদানে হিমসিম খেতে হয় পরিচালনা কমিটিকে। যার ধরুন শিক্ষকদের ৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।

বিদ্যালয়ে ক্রিড়া সামগ্রী, সাংস্কৃতিক সামগ্রী, আসবাবপত্র, চেয়ার টেবিল, লাইব্রেরির সংকট রয়েছে। ভূজপুর পাবলিক হাই স্কুল যথাযথ মর্যাদায় সবগুলো রাষ্ট্রীয় দিবস, ধর্মীয় দিবস,বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রীয় দিবস ও বার্ষিক অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ সদস্যরা অংশ গ্রহন করে থাকে। বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে তবে পর্যাপ্ত বাতি ও পাখা নেই। বিদ্যালয়ে ৩টি টয়লেট থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। প্রয়োজন রয়েছে একটি ওয়াশ ব্লকের।

বিদ্যালয়ের সমস্যা সম্ভবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এডহক কমিটির সভাপতি মাওলানা নিজাম উদ্দিন বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকার আধুনিক শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে নানাবিধ অবদান রাখবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আভ্যন্তরিন নানা সমস্যা, সরকারি সহযোগিতা পেলে লেখাপড়ার মান আরোও বাড়বে। তিনি শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাবোর্ড, উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে এ বিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। লেখাপড়ার মান ভালো,সহপাঠ্যক্রম চালু রয়েছে। বিদ্যালয় এমপিওভুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরি। তিনি স্থানীয় সাংসদ, মহিলা এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও সচেতন মহলের সাহায্য কামনা করেছেন।