ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে অদ্য আইনজীবী অডিটরিয়ামে স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্নজয়ন্তী অনুষ্ঠান অনাড়ম্বর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিল এডহক কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক, সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন, সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল আল মামুন, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মনজুরুল আজম চৌধুরী। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি আলী আশরাফ চৌধুরী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাহমুদ-উল আলম চৌধুরী (মারুফ), নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে ফাতেমা নার্গিছ হেলনা, মারুফ মোঃ নাজেবুল আলম, এস এম আরমান মহিউদ্দিন, আবু নাসের রায়হান, সাহেদা বেগম, খায়রুন নেছা, জোহরা সুলতানা (মুনিয়া), নুর কামাল, মোঃ সরোয়ার হোসাইন (লাভলু), মোমেনুর রহমানসহ সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণসম্পাদকবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতেই বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁরা দেশের সূর্য সন্তান।
বিজয়ের ৫০ বছরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির যে সকল বিজ্ঞ সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন তাঁদের অসাম্যা অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ সমিতির উদ্যোগে প্রথমবারের মত সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নিকট থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে ব্যারিষ্টার আমিনুল হক, মো. আনোয়ারুল কবির চৌধুরী, আবু মোহাম্মদ হাশেম, রানা দাশগুপ্ত, মির্জা কছির উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ আলী, মো. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এইচ.এস.এম. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সুস্বপন কৃষঞ বিশ্বাস, মো. আলী আশরাফ চৌধুরী, মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ জহির হোসেন, মো. মাহফুজুর রহমান খাঁন, মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আজিজ উদ্দীন (হায়দার), মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সমিতির পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্টল স্থাপন করে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।