ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৫ জন।
সোমবার (২২ আগস্ট) এ তথ্য জানান বিআইটিআইডি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালে ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই একটা নির্দিষ্ট এলাকার। ওই এলাকার খাবারের পানিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা যাচাই করা দরকার। আক্রান্ত রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। কয়েকজনের শরীরে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সময় খারাপ। তাই খাওয়া-দাওয়ায় আরও অধিক সচেতন থাকার পাশাপাশি খাবার পানি ফুটিয়ে পান করা উচিত।
এদিকে, ডায়রিয়ার কারণ চিহ্নিত করতে গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) থেকে কাজ করছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি দল। সাত সদস্যের এ টিম নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সোমবার (২২ আগস্ট) টিমের সদস্যরা নগরের ৩৭ এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ করবেন। এসব এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করবেন তারা।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে ১৪ উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৯৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পটিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এছাড়া হাটহাজারী, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ উপজেলায় ১০ জন, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলায় ৯, আনোয়ারায় ৭ জন, রাউজানে ৬ জন, মীরসরাইয়ে ৫ জন, সীতাকুণ্ডে ৩ জন, সন্দ্বীপ ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭২ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় ১৫টি উপজেলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু ডায়রিয়া আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী এক-দুই দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাই তেমন সমস্যা হবে না আশা করি। তাছাড়া পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত রাখা হয়েছে।