বান্দরবানে দুই বছর বয়সী নারী শিশুকে ধর্ষন মামলায় শফিউল আলম নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার(২৬ সেপ্টম্বর) বেলা ১১টায় বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক এই রায় ঘোষনা করেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়,মামলার আসামী শফিউল আলম গত ২৯/২/২০২১ তারিখে বাদী মোঃ দেলোয়ার হোসেনের দুবছর বয়সী শিশু কন্যাকে বান্দরবান সদর উপজেলার বালাঘাটা বাজার এলাকায় আসামীর ভাড়া বাসায় ধর্ষন করে। এঘটনার পর এটনায় ধর্ষনের স্বীকার শিশু কন্যা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে এঘটনায় ধর্ষনের স্বীকার শিশুর বাবা মোঃ দেলোয়ার হেসেন বাদী হয়ে ধর্ষক শফিউল আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এমামলায় পুলিশ আসামী শফিউলের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত ১১ জনের স্বাক্ষ গ্রহন শেষে আমীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানীত হওয়ায় আসামী শফিউলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ এক টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে। রায় ঘোষনার সময় দন্ডিত আসামী শফিউল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় রায়ের পর্যবেক্ষনে আদালত বলেন,আমাদের সামাজিক মুল্যবোধের অবক্ষয়, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা,পাপ -পূন্যবোধ এবং নীতিবোধ এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে অপরাধী প্রতিবেশী শফিউল আলমের লালসার শিকারে পরিনত হয়ে একটি দুগ্ধপোষ্য ফুলের মত নিস্পাপ শিশু মাইমুনা আক্তার(২) তার সম্ভ্রম এবং ভবিষ্যত জীবনের নিরাপত্তা হারিয়েছে যা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক এবং সমাজের প্রতিটি শিশুর নিরাপত্তা ও সুন্দর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ জীবনকে প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে। রায়ের পর্যবেক্ষনে আরো বলা হয়,ধর্ষন একটি জঘন্য, ঘৃনিত,নিন্দনীয় এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সমাজে ধর্ষনের মত এই ধরেনর ঘৃন্য, জঘন্য ও কঠিন অপরাধের জন্য কঠোর সাজা প্রদান করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলেই কেবল মাত্র নারী ও অবুঝ নিস্পাপ শিশুদের প্রতি সহিংসতা কমবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের মনে অপকর্মের সাজা ভোগ করার একটি ভয় ভীতি সঞ্চারিত হবে।