বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র বিরুদ্ধে সাড়াঁশি অভিযানের অংশ হিসাবে কেএনএফ এর ঘাটিতে সেনা বাহিনীর অভিযান চালিয়েছে। এসময় কেএনএফ ঘাটি থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ও (২৯ মে)সোমবার সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা সীমন্তবর্তী থিংদলতে এলাকার কেএনএফ এর ঘাঁটিতে এই অভিযান চালায়। এসময় কেএনএফ এর একটি ক্যাম্প সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সেনা বাহিনী সুত্র জানায়,কেএনএফ এর বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীর সাড়াঁশি অভিযানের অংশ হিসাবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিত্বে কেএনএফ এর একটি ক্যাম্প ঘেরাও করে সেনা সদস্যরা। এসময় সেনা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কেএনএ সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে সেনা সদস্যরা ক্যাম্প তল্লাশী চালিয়ে কেএনএফ এর ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং স্থলমাইন,এবং বোমা তৈরীর নানান সরঞ্জাম উদ্ধার করে। ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) জব্দ করে। কেএনএফ এর বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সেনা বাহিনী সুত্র জানিয়েছে। এব্যপারে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মে: আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন,কেএনএফ এর ক্যাম্প তল্লাশী চালিয়ে সেনা বাহিনী বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে এই বিষয়ে সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে থানার সাথে যোগাযোগ করেনি।
এদিকে বান্দরবানের কেএনএর অপতৎপরতা এবং সেনা অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা আতংকিত হয়ে রুমা উপজেলার বাকলাই পাড়ার ১১ বম পরিবারের ৩২ সদস্য গতকাল রবিবার সকালে পাশের থানচি উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছে। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল মনসুর জানান, বাকলাই এলাকা থেকে আসা বম পরিবারগুলোকে থানচি উপজেলা সদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেখানে সরকারিভাবে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজ গ্রামে ফেরার অনুকূল পরিস্থিতি না আসা পর্যন্ত তারা সেখানে থাকতে পারবে।