আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাঁকখালী নদীর ২৭ পয়েন্টে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

ইমাম খাইর, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:০৮:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

 

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর ২৭টি (মতান্তরে ৪২) পয়েন্টে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বাড়ছে দখল। বাসাবাড়ি, হোটেলের বর্জ্য পড়ছে বাঁকখালী নদীতে। কক্সবাজারের পানিতে পাওয়া গিয়েছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ। গ্রীণ কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর আয়োজনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য ওঠে আসে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স হলে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনে বিভিন্ন উপজেলার চিত্র তুলে ধরেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা টিমের প্রধান ইকবাল ফারুক। বিশেষ করে তিনি কক্সবাজার শহর ও সদর লোকাল ভয়াবহ চিত্র উপস্থাপন করেন। ইকবাল ফারুকের তথ্য মতে, কক্সবাজার শহরে ৮ টি খাল রয়েছে। এখানে ইসিএ আইন লংঘন করে স্থাপনা হচ্ছে। নির্বিচারে হাঙ্গর নিধন ও হাঙ্গর পুড়িয়ে তেল তৈরি করা হচ্ছে। সমুদ্রসৈকতের দখল-দূষণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেচ প্রকল্পের নামে গভীর নলকূপ বসানোর ফলে টিউবয়েল থেকে সুপেয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা বাড়ার কারণে সংযুক্ত খালগুলোতে পানির লবণাক্ততা বাড়ছে। কক্সবাজারের আকাশে ৭ লক্ষ টন কার্বন ডাই অক্সাইড ভাসমান বলেও তথ্য দেন ইকবাল ফারুক। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রীণ কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশের করুন দশা। বিভিন্ন বাহিনীর নামে পাহাড়, প্রকৃতি, জলাভূমি দখল করা হচ্ছে। কক্সবাজার রক্ষা করা না গেলে সারা দেশ সংকটে পড়বে। পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে। বক্তব্য দেন পরিবেশ সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরীফ জামিল। তিনি বলেন, কক্সবাজারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এটা আদিকাল থেকেই চলমান প্রক্রিয়া। কক্সবাজারের পরিবেশের প্রকৃত অবস্থা কি? কিসের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে? প্রাণপ্রকৃতি ফেরাতে কী করতে হবে? আমাদের জানা দরকার। পরিবেশ রক্ষা করা গেলেই বাঁচবে প্রাণ ও প্রকৃতি। সভায় জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা সহসভাপতি ফরিদুল আলম শাহীন, সেক্রেটারি কলিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।